Monday, April 5, 2010

'প্রবাদ আছে কয়লা শতোবার ধুলেও ময়লা যায়না'

"প্রবাদ আছে কয়লা শতোবার ধুলেও ময়লা যায়না।"


কিছুক্ষন আগেও আমি সমমনা হাজারো বাঙ্গালীর মতো বিচলিত ছিলাম এই ভেবে যে আমাদের মোহতারেমা খালেদা বিবি কিনাকি করে বা বলে বসেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে।


হাজারো বাঙ্গালীর আবেগ আর স্বকীয়তার উৎস বাংলার মুক্তিযুদ্ধে দেশীয় কুলাঙ্গারদের বিরোধীতায় ও প্রত্যক্ষ নিরদেশে সংগঠিত মানব ইতিহাসের নিষ্টুরতম হত্যাযজ্ঞের বিচারকার্য যে অপরাধী ও তাদের দোশরদের কাটা ঘায়ে লবন দেবে তাতে অবাক হবার কিছু নেই।

কিন্তু রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে একটা শব্দ আছে।

মনের গহীনে একটা ক্ষীন আশা ছিল হয়তো মোহতারেমা ভোটের রাজনীতির কথা ভেবে হলেও এই বিচারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কিছু বলবেনা। তার চেলাপেলারা যা খুশি বলুক তা নিয়ে জাতি ভাবেনা। মোহতারেমা খালেদা বিবির দীর্ঘ নিরবতা আমার এই ভাবনাকেই উস্কে দিয়েছিল।

আর পারলেননা মোহতারেমা খালেদা বিবি। পারলেন না। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার কথিত স্ত্রীর দাবীর প্রতি বিশ্বাস রেখে মোহতারেমা পারলেননা বিরোধিতা থেকে বিরত থাকতে।

তার স্বামীর দল বিএনপি (কারন এটা কোনো গনমানুষের দাবী আদায়ের জন্য নয়, বরং খাকি পোষাকের পকেটে জন্মানো একটি বহুজাতিক আশ্রয়কেন্দ্র বা স্থল বা দল।)। কি তার আদর্শ কি তার উদ্দেশ্য তা নির্ধারন করে দিয়ে বহু আগেই প্রয়াত বা তার অনুসারীদের হাতে নিহত মে.জে.জিয়া। মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বটে তবে তাও ভগ্ন হৃদয়ে, কারন মোহতারেমা খালেদা(তার বিবি)বহু অনুনয় বিনয়েও ক্যাপ্টেন জাঞ্জুয়াকে ত্যাগ করে পাকি সেনানিবাস ছেড়ে বের হননি।

বাঙ্গালী ভুলোমনা হলেও মোহতারেমা খালেদা তা নন। তিনি ভুলতে পারেননি তার সে সুখের দিনগুলোকে। আজও হয়তো সেই নয় মাসের সুখস্মৃতি মোহতারেমা খালেদা কে ভাবায়।

আহা দিনগুলি তার সোনার খাঁচায় রইলোনা, তার সে নানান রঙ্গের দিনগুলি।

তাতে কি ? তাই বলেতো আর দোশরদের সাথে বেঈমানী করা যাবেনা। যেভাবেই হোক তাদের রক্ষা করার দায়ীত্বোতো তারই। অকালপ্রয়াতো বৈধব্য তাকে এতটা বিচলিত করেনি, যতোটা করছে এই বিচারকার্য। কি বলবেন তার ভাষা হারিয়ে ফেলে এইকটা দিন নিশ্চুপ ছিলেন। চট্টগ্রাম গেলেন। মোহতারেমা খালেদা ভাষন দিলেন। সরকার কে ওয়াজ নছিয়ত করলেন আর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বিশাল লোকসমাগম দেখে মোহতারেমা খালেদা ভাবলেন জনগন তার ও তার পুত্রদের আর তার এই দেশীয় মদদদাতাদের অপকর্ম ভুলে গেছেন।

সাহস ফিরে পেলেন মোহতারেমা খালেদা। প্রভু আর প্রাক্তনদের ইশারায় সরকারকে ধমক দিলেন রিহার্সেলের। ভয় কি তার! তার পাশেতো তার সুবিধা ও সম্ভ্রমভোগীরা আছেনই, আরও আছে তার সাশনামলে গোপনে আনা ট্রাকে ট্রাকে অস্ত্র গোলা আর বারুদ।

আন্দোলন করবেন তিনি, মোহতারেমা খালেদা। নিজেরগুলোতো বিদেশে, কবে আনতে পারবেন বা আনবেন তার ঠিকনেই। কিন্তু তাই বোলেতো আর বসে থাকা যায়না। আরও একধাপ বাড়িয়ে করলেন স্থায়ী কমিটির মিটিঙ।

দূষিতপবনপিতা ও মাতাল দেলোয়ার কে দিয়ে মোহতারেমা খালেদা শেষবারের মতো করিয়ে নিলেন আর একটি সংবাদসম্মেলন তার দোশরদের বাচাতে। হুংকার দিলেন মোহতারেমা খালেদা। যদিও নিজেই জানেন যে তা অন্তসারশুন্য।

মৃত্যর পুর্বেই মরিয়া যাওয়া মাতাল বেতাল দেলোয়ারও শেষবারের মতো(!) ফ্লোর পেলেন। মরা গাংগে আবার জোয়ার এল। সংবাদসম্মেলন করে দেলু বিরোধীতা করলেন বিচারকার্যের। মোহতারেমা খালেদা আরেকবার প্রমান কোরলেন তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন সময় যেমন ছিলেন ঠিক তেমনি আজও স্বাধীনতা বিরোধীই আছেন।

আমাদেরও সংশয় কেটে গেল। আমরাও ফিরেপেলাম আস্থা। আমরা ঠিকপথেই এগুচ্ছি, তাই মোহতারেমা খালেদা বেসামাল। প্রবাদ আছে কয়লা শতোবার ধুলেও ময়লা যায়না।
------------------------
"জয় বাংলা বাংলার জয়"

No comments: