Wednesday, April 14, 2010

বিচারের মুখে ওরা ।। সেই রাজাকার থেকে যুদ্ধাপরাধী

বুধবার, ৩১ মার্চ ২০১০, ১৭ চৈত্র ১৪১৬
বিচারের মুখে ওরা ।। সেই রাজাকার থেকে যুদ্ধাপরাধী
মামুন-অর-রশিদ ॥ আবার আলোড়ন জনকণ্ঠের 'সেই রাজাকার থেকে যুদ্ধাপরাধী' শীর্ষক সিরিজে। মঙ্গলবার রাজাকারদের অবস্থান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া, সরকারের কর্মতৎপরতার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এতে ঘোষণা দেয়া হয়, জনকণ্ঠে নতুন করে শুরু হচ্ছে 'সেই রাজাকার থেকে যুদ্ধাপরাধী' শিরোনামে একটি সিরিজ। এতে সারাদেশের কুখ্যাত রাজাকারদের একাত্তরের ঘৃণ্য অপকর্ম, স্বাধীন বাংলাদেশে '৭৫-এর আগস্ট ট্রাজেডিতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর এই ঘাতকচক্রের পরগাছার মতো বেড়ে ওঠা, ক্ষেত্রবিশেষ মূল বৃক্ষকে গ্রাস করার ঔদ্ধত্য হওয়াসহ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে জন্মলগ্ন থেকে গত দু'দশক আপোসহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া জনকণ্ঠের এই উদ্যোগ পাঠক হৃদয়ে বাহবা কুড়িয়েছে আরেকবার। মঙ্গলবার জনকণ্ঠের অনেক পাঠক শুভানুধ্যায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক এবং পত্রিকা অফিসে ফোন করে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এই উদ্যোগের। আজকের পর্বে জনকণ্ঠ তুলে ধরবে সরকার কিভাবে শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরি করবে। এই তালিকায় কাদের নাম থাকবে। কোন প্রক্রিয়ায় শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃত কম্বোডিয়ার গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।
জনকণ্ঠের ধারাবাহিকেও শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের একাত্তরের ঘৃণ্য অপকর্ম, '৭৫-এর আগস্ট ট্রাজেডি পরবর্তী রাজনীতিতে রাজাকার আলবদর আলশামসের গতিবিধি, সর্বশেষ তাদের অবস্থান, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করায় শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিক্রিয়া এতে প্রকাশিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অর্ধশতাধিক যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম চালানোর পর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তারাই নিঃসন্দেহে বিচারের মুখোমুখি হবে। সরকার বিচারের উদ্যোগ নেয়ায় শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীরা পালানোর পাঁয়তারা করছে। বিমান পথে যেতে না পারলে সড়কপথে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভেগে যাওয়ার চেষ্টা করছে। দেশের একটি চিহ্নিত মহল বাদে সকলের দাবি অন্তত শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। এতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের রাস্তাও বন্ধ হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিশিষ্ট গবেষক শাহরিয়ার কবির সম্পাদিত 'একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার' শীর্ষক বইয়ে শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা দেয়া হয়েছে। এই বইটি সরকারের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে। এছাড়া এ এস এম সামসুল আরেফিন সম্পাদিত 'রাজাকার ও দালাল অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের তালিকা (ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে মার্চ ১৯৭২ পর্যন্ত)' শীর্ষক পুস্তকে সারাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা রয়েছে।
সরকার বিভিন্ন সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ জানবে। সংগ্রহ করবে শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ক নাগরিক কমিশনের অভিমত, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ, শান্তির বিরম্নদ্ধে অপরাধ, ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন-আনত্মর্জাতিক আইন অনুসারে কোন অপরাধ ও অপরাধের উদ্যোগ গ্রহণ, যোগসাজশ বা জবরদস্তি করা এবং যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত ঘটনা সংশ্লিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান এবং অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠ সাৰ্য প্রমাণাদিসহ সমসত্ম দলিল যা দেশে আনত্মর্জাতিক পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট, ছবিসমূহ, সাময়িক পত্র, পত্রিকা, ফিল্ম, টেপরেকর্ডার এবং অন্যান্য প্রমাণ সামগ্রী, পরিপার্শ্বিক ঘটনা, প্রত্যৰ ও পরোক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের ভিত্তিতে অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে অভিযোগ প্রস্তুতের প্রয়োজনে 'যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান ও তদনত্ম' কর্তৃপৰ গঠনের জন্য সরকারকে জরুরীভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। ১৯৭৩ সালের অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে গঠিত এবং স্থাপিত ট্রাইব্যুনালের সামগ্রিক দাফতরিক এবং রেকর্ড সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সামগ্রিক কাজের তত্ত্বাবধায়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার জন্য একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রদান করতে হবে। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা পরিবেশবান্ধব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থান, যানবাহন, ড্রাইভার, কম্পিউটার অপারেটর, অডিওভিজুয়াল ও পাওয়ার পয়েন্ট অপারেটর, পিয়ন চাপরাশি এবং দাফতরিক সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদেরই বিচারে সরকার কম্বোডিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। কম্বোডিয়ার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেই সরকার শীর্ষ পর্যায়ের সিকি শতক যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করার চিন্তা করছে। কম্বোডিয়ার গণহত্যার খলনায়কদের বিচারিক আইন প্রণয়নে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন (ট্রাইব্যুনাল) ১৯৭৩ আইনের সহায়তা নিয়েছে। এবার বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে কম্বোডিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। গত বছর মার্চ মাসে কম্বোডিয়ার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের দায়িত্বে নিয়োজিত হেলেন জারভিস এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছে। জামায়াত তাদের প্রকাশিত পুস্তিকায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের সুযোগ নেই বলে দাবি করেছে। একই কথা তাদেরই প্রকাশনায় বিশেষ দূরভিসন্ধি থেকে বলা হয়েছে, বিচার হতে হলে কয়েক হাজার অভিযুক্তের বিচার হতে হবে। এই বক্তব্য দিয়ে জামায়াত দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায় বলে হেলেন জারভিস বাংলাদেশে অবস্থানকালে জনকণ্ঠের এই প্রতিবেদকে বলেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে গণহত্যার দায়ে কম্বোডিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি খিউ সাম্পান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েং সারি, ইয়েং থিরিত, পার্লামেন্টের প্রধান ও সাবেক স্পীকার নুওন চিয়া ও সাবেক সেনাপ্রধানসহ পাঁচ জন এখন আসামির কাঠগোড়ায়। গণহত্যার ৩১ বছর পর গত মার্চ মাসে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এখন থেকে ৩১ বছর আগে ১৯৭৯ সালে কম্বোডিয়ায় সংঘটিত খেমাররুজ সরকারের গণহত্যার বিচার শুরু হয়েছে গত বছরের মার্চ মাসে। ১৯৭৫ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু করে ১৯৭০ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খেমাররুজ বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে কম্বোডিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। ১৯৯৭ সালেই খেমাররুজ সরকারের গণহত্যার বিচারের দাবি ওঠে। জাতিসংঘের পরামর্শে ১৯৯৯ সালে কম্বোডিয়ার সরকার গণহত্যার বিচারে টাস্কফোর্স গঠন করে। ২০০৩ সালে টাস্কফোর্সের রিপোর্টের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মহল গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের ব্যাপারে ঐকমত্যে আসে। গণহত্যার বিচারের জন্য সেদেশে গঠন করা হয় বিশেষ আদালত। এই আদালতের নামকরণ করা হয়, 'এক্সটা অর্ডিনারি চেম্বার্স ইন দি কোর্ট অব কম্বোডিয়া' (ইসিসিসি)। এই চেম্বার ২০০৭ সালের জুন মাসে গণহত্যাকারীদের বিচারে হাত দেয়। এ প্রসঙ্গে হেলেন জারভিস জনকণ্ঠকে জানান, এই পাঁচ শীর্ষ অপরাধীর নির্দেশে যারা অপরাধ সংঘটিত করেছে তারা প্রাণ বাঁচাতে কিংবা বিশেষ কোন বাধ্যবাধতকায় করেছে। যারা গণহত্যা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে গেলে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। সেই বিবেচনায় কম্বোডিয়ার গণহত্যায় শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বদানকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রসঙ্গে হেলেন জারভিস বলেন, যারা রাজাকার আলবদর আলশাসন বাহিনী গঠন করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে সাধারণ মানুষকে পাকবাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করতে যারা বাধ্য করেছে সেই নারী ধর্ষক, গণহত্যাকারী, লুটপাটকারী ও অগ্নিসংযোগকারীদেরই বিচারের আওতায় আনা উচিত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে মিডিয়ার ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন হেলেন জারভিস।
জামায়াতী প্রচারপত্রে বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ৰমা ঘোষণার ভুল ব্যাখ্যা করে জামায়াত এখন আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। জামায়াতী প্রচারপত্রে এখনও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময় ৭শ' ৫২ জনের যুদ্ধাপরাধের দায়ে শাস্তি হয়। '৭৫-এর আগস্ট ট্রাজেডির পর জেনারেল জিয়া ঐ বছরের ৩১ ডিসেম্বর কলাবরেটর্স এ্যাক্ট বাতিল করলেও ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইনটি অব্যাহত রয়েছে, যেটি জামায়াত এড়িয়ে চলতে চায়। পাক বাহিনীর দোসর এই জামায়াতীরা তাদের প্রচারপত্রে পাকবাহিনীর ১শ' ৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়। তারা নিজেদের যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথাই অস্বীকার করছে। ক্ষেত্রবিশেষ নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করার মতো ডাহা মিথ্যা বলতেও তাদের মুখ আটকাচ্ছে না।
দেশবাসী শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। বর্তমান সরকারের এটি নির্বাচনী অঙ্গীকার। দেশ-বিদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের এত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, নির্যাতিত, ধর্ষিত, নিহতদের স্বজনদের কাছে এখনও অনেক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যাতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ করাটা খুব কঠিন কাজ হবে না। তাই যুদ্ধাপরাধীরা সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হবে বলে দেশবাসী আশা ব্যক্ত করেন। দেশের একটি চিহ্নিত মহল বাদে সকলের দাবি অন্তত শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। এতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিরম্নদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের রাস্তাও বন্ধ হবে। দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থেই শীর্ষ স্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে হবে। এতে এদেশে আর কোন দিন কেউ রাজাকারের পথে পা বাড়াবে না। শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমাদের এটিই নিশ্চিত হবে।
একাত্তরের শীর্ষ পর্যায়ের ঘাতকরা এবার বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং অনাকাঙ্ৰিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতেই কম্বোডিয়ার মতো শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীরা বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব দলীয় ইশতেহারে মহাজোট সরকারের নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেছিল। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর দেশে যুদ্ধাপরাধীরা বিচারের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। ধারণা করা হয়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে দেশের ৩০ ভাগ তরম্নণ ভোটাররা সমর্থন দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি থাকার কারণে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারই জাতি রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর দেশে প্রচলিত সাধারণ আইনে বিচার করে খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে। এতে দেশ দীর্ঘদিন ধরে চাপিয়ে দেয়া কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারে প্রসিকিউটর নিয়োগের মাধ্যমে সেই নির্বাচনপূর্ব অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা দেশকে আরেক দফা অভিশাপমুক্ত করবে।

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-03-31&ni=13186

No comments: