লালমোহনে আওয়ামী লীগের শোডাউনে জনতার ঢল
বিশেষ প্রতিনিধি/নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমোহন ॥ আবার নামল ঢল মানুষের, আবার নামল বান। ঠিক যেন বাঁধভাঙ্গা স্রোত। লালমোহন বাজারের কেন্দ্রস্থলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের শেষ নির্বাচনী জনসভায় চতুর্দিকে থেকে বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়ে যায় লালমোহনের সদর। আৰরিক অর্থেই তিলধারণের ঠাঁই নেই, ঠিক যেন 'ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট সে তরী।' কপালে-কব্জিতে লাল সালু বেঁধে, হাতে পস্ন্যাকার্ড নিয়ে, মাইকের সেস্নাগানে নৃত্যের তালে চরাঞ্চল থেকে প্রত্যন্ত জনপদ থেকে আসা জনতার স্রোত বক্তার শব্দে-বাক্যে আলাদা গতি সঞ্চার করেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ মুরবি্ব, মধ্যবয়সী যুবক, কৃষক-কৃষাণীর কণ্ঠে ছিল 'হাফিজের ২৫ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চাই।' জনসভার সামনে দাঁড়িয়ে যখন রিপোর্ট লিখছি তখন বিস্মিলস্নাহ ট্রেডার্সের সামনে দাঁড়িয়ে যুবক ইব্রাহিম বলে, 'বিকেলে দেখলাম খালি, এখন এত লোক এলো কোথা থেকে?' বিস্মিলস্নাহ ট্রেডার্সের মালিক নুরম্নন্নবী জনকণ্ঠকে বলেন, 'লালমোহনে এত বড় জনসভা কোন দিন হয়নি। লোকসমাগম দেখে আয়োজকরা অবাক-উলস্নসিত। শাওনের বিজয় নিয়ে তাঁরা দারম্নণ আশাবাদী। জনস্রোত দেখে লালমোহন বাজারের দোকানিরা হতবাক। তাঁরা বলছেন, 'শাওনের বিজয় সুনিশ্চিত। জনসভায় মতানত্মরে অর্ধলৰাধিক থেকে লৰাধিক জনসমাগমের কথা বিভিন্ন মহল আলোচনা করেছে। জনসভায় হাফিজ বাহিনীর হাতে নির্যাতিত অনেকে বক্তৃতা করেন।
লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যৰ নজরম্নল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা করেন জননেতা তোফায়েল, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, চরফ্যাশনের এমপি আব্দুলস্নাহ আল ইসলাম জ্যাকব। এছাড়া সমাগত জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা করেন নৌকা প্রতীকের প্রাথর্ী নুরম্নন্নবী চৌধুরী শাওন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাইদ আল মাহমুদ স্বপনসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অভূতপূর্ব জনসমাবেশ থেকে দলীয় কমর্ী-সমর্থক সাধারণ মানুষ সবার প্রশ্ন ছিল_ এত লোক কোত্থেকে এলো? জনতার উত্তাল তরঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারাও হয়েছেন অভিভূত। খোদ আওয়ামী লীগ প্রাথর্ী শাওন বলেছেন, লালমোহনে এতবড় সমাবেশ আমার জীবনে দেখিনি। তিনি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে যারপরনাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জনসভায় লোকসমাগম দেখে অনেক দোকানি বলেছে, 'যে অবস্থা তাতে হাফিজ সাহেবের নির্বাচন না করাই ভাল। নির্বাচন করার ব্যাপারে তিনি যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার নামে পিছুটান দিয়েছেন তা ভালই করেছেন। অন্যথায় নিজের সম্মানই বাঁচাতে পারবেন না।' সমাবেশ শেষ হতে হয়ত রাত ন'টা বেজে যাবে, কিন্তু সমাগত দর্শক-শ্রোতারা জনসভা ছেড়ে যাচ্ছেন না। সদর রোডেও লোক দাঁড়ানোর ঠাঁইটুকু পর্যনত্ম নেই। নেতৃবৃন্দ সংৰিপ্ত বক্তৃতা দেন। তবে প্রাথর্ী নুরম্নন্নবী চৌধুরী শাওন দীর্ঘ বক্তৃতা দেন।
জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে সমাবেশস্থলে উৎসবের আমেজ নেমে আসে। আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশন দু'পৰের মতামত নিয়েই ২২ এপ্রিলের পর নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত অবস্থান নিষিদ্ধের সিদ্ধানত্ম নেন। এখন মেজর হাফিজ অস্বীকার করে বলছেন, তাঁর কোন কথা রাখা হয়নি। তোফায়েল আহমেদ নাসরিন লঞ্চডুবির পর নিহতদের স্মরণে মিলাদ পড়তে এলে হাফিজের লোকজন আমার গাড়ি ভাংচুর করে, আমাকে রক্তাক্ত করে। লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষ হাফিজের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, কে জয়ী, কে বিজিত হবে সেটি বিষয় নয়। আওযামী লীগ গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী করতে চায় বলেই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। নির্বাচন কমিশন প্রতিপৰ প্রাথর্ীর বেশ কয়েক দফা দাবি মেনে নেয়ার পরে সে নিত্যনতুন কথা বলছে। মৌমাছি বাহিনী, মার্শাল বাহিনী আর হকিস্টিক বাহিনী অতীতের নির্বাচনের মতো ব্যবহার করতে পারছে না বলেই নির্বাচনে থাকা না থাকা নিয়ে টালবাহানা করছে। আফম বাহাউদ্দিন বেগম জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, মাননীয় বিএনপি চেয়ারপার্সন আসুন, দেখে যান জনতার ঢল, মানুষের ঐক্যের শক্তির সামনে আপনাদের কোন ষড়যন্ত্রই টিকবে না। ২৪ তারিখের ভোটযুদ্ধে সেটি প্রমাণিত হবে। আব্দুলস্নাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ২৫ বছরের হাফিজীয় দুঃশাসন অবসানের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মতো আরেক তরম্নণ শাওনকে পাঠিয়েছে। উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে আপনারা শাওনকে নির্বাচিত করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
মেজর হাফিজের আমলে নির্বাচিত অনেকে মঞ্চে উঠে নেতাদের সরিয়ে বক্তৃতা করেন।
লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যৰ নজরম্নল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা করেন জননেতা তোফায়েল, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, চরফ্যাশনের এমপি আব্দুলস্নাহ আল ইসলাম জ্যাকব। এছাড়া সমাগত জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা করেন নৌকা প্রতীকের প্রাথর্ী নুরম্নন্নবী চৌধুরী শাওন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাইদ আল মাহমুদ স্বপনসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অভূতপূর্ব জনসমাবেশ থেকে দলীয় কমর্ী-সমর্থক সাধারণ মানুষ সবার প্রশ্ন ছিল_ এত লোক কোত্থেকে এলো? জনতার উত্তাল তরঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারাও হয়েছেন অভিভূত। খোদ আওয়ামী লীগ প্রাথর্ী শাওন বলেছেন, লালমোহনে এতবড় সমাবেশ আমার জীবনে দেখিনি। তিনি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে যারপরনাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জনসভায় লোকসমাগম দেখে অনেক দোকানি বলেছে, 'যে অবস্থা তাতে হাফিজ সাহেবের নির্বাচন না করাই ভাল। নির্বাচন করার ব্যাপারে তিনি যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার নামে পিছুটান দিয়েছেন তা ভালই করেছেন। অন্যথায় নিজের সম্মানই বাঁচাতে পারবেন না।' সমাবেশ শেষ হতে হয়ত রাত ন'টা বেজে যাবে, কিন্তু সমাগত দর্শক-শ্রোতারা জনসভা ছেড়ে যাচ্ছেন না। সদর রোডেও লোক দাঁড়ানোর ঠাঁইটুকু পর্যনত্ম নেই। নেতৃবৃন্দ সংৰিপ্ত বক্তৃতা দেন। তবে প্রাথর্ী নুরম্নন্নবী চৌধুরী শাওন দীর্ঘ বক্তৃতা দেন।
জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে সমাবেশস্থলে উৎসবের আমেজ নেমে আসে। আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশন দু'পৰের মতামত নিয়েই ২২ এপ্রিলের পর নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত অবস্থান নিষিদ্ধের সিদ্ধানত্ম নেন। এখন মেজর হাফিজ অস্বীকার করে বলছেন, তাঁর কোন কথা রাখা হয়নি। তোফায়েল আহমেদ নাসরিন লঞ্চডুবির পর নিহতদের স্মরণে মিলাদ পড়তে এলে হাফিজের লোকজন আমার গাড়ি ভাংচুর করে, আমাকে রক্তাক্ত করে। লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষ হাফিজের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, কে জয়ী, কে বিজিত হবে সেটি বিষয় নয়। আওযামী লীগ গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী করতে চায় বলেই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। নির্বাচন কমিশন প্রতিপৰ প্রাথর্ীর বেশ কয়েক দফা দাবি মেনে নেয়ার পরে সে নিত্যনতুন কথা বলছে। মৌমাছি বাহিনী, মার্শাল বাহিনী আর হকিস্টিক বাহিনী অতীতের নির্বাচনের মতো ব্যবহার করতে পারছে না বলেই নির্বাচনে থাকা না থাকা নিয়ে টালবাহানা করছে। আফম বাহাউদ্দিন বেগম জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, মাননীয় বিএনপি চেয়ারপার্সন আসুন, দেখে যান জনতার ঢল, মানুষের ঐক্যের শক্তির সামনে আপনাদের কোন ষড়যন্ত্রই টিকবে না। ২৪ তারিখের ভোটযুদ্ধে সেটি প্রমাণিত হবে। আব্দুলস্নাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ২৫ বছরের হাফিজীয় দুঃশাসন অবসানের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার মতো আরেক তরম্নণ শাওনকে পাঠিয়েছে। উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে আপনারা শাওনকে নির্বাচিত করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
মেজর হাফিজের আমলে নির্বাচিত অনেকে মঞ্চে উঠে নেতাদের সরিয়ে বক্তৃতা করেন।
No comments:
Post a Comment