ওরা এজিদের বংশধর ইসলামের দুশমন, ওদের বিচার করম্নন
নিজামীর বক্তব্যে সুন্নী আলেমদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় জামায়াত কাজ করেছিল মর্মে নিজামীর বক্তব্যে সুন্নী সম্মেলনে নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় ওঠে। যুদ্ধাপরাধে যুক্ত জামায়াত নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন দেশের সুন্নী আলেমরা। সুন্নী সম্মেলনে মওদুদীপন্থী জামায়াতকে এজিদের বংশধর উল্লেখ করে দেশে জঙ্গীবাদের প্রবক্তা এবং ইসলামের দুশমন বলেও কঠোর সমালোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সরকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, যুদ্ধাপরাধ আইন ১৯৭৩ কে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য যথাযথ উলেস্নখ করে দেশের জনগণই এই বিচার সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন। হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনের শিকার এ দেশের ভুক্তভোগী জনগণই যেখানে সাক্ষী সেখানে অন্যদের দেখানোর জন্য কোন বিদেশী প্রতিনিধি আনার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জামায়াতের বুদ্ধিজীবী এবং আইনজীবীদের সাম্প্রতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩-কে ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করাকে মিথ্যার বেসাতি বলে তীব্র প্রতিবাদ জানান। জামায়াত যুদ্ধাপরাধী বলেই এই আইনকে ত্রুটিপূর্ণ দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলে দেশের মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে দেশের গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে তথাকথিত ইসলামের ধ্বজাধারী জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজকে রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান ডা মহীউদ্দীন।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় সুন্নী সম্মেলন। আলা হযরত এম এ জলিল (রা.) স্মরণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সুন্নী সম্মেলনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা প্রায় হাজার দেড়েক আলেম অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে ওলামাদের মধ্যে মওদুদীপন্থী এবং যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার বহির্প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর "পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় জামায়াত কাজ করেছিল" বলে মিডিয়ায় প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সকলেই ছিলেন প্রতিবাদে সোচ্চার। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, যুদ্ধাপরাধ বলতে যা বোঝায় সেই হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন জামায়াত স্বীকার করছে না কিন্তু শত্রুকে সরাসরি দেশের জনগণের ওপর চড়াও হতে সহায়তা করেছে বলে সদম্ভ স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। তৎৰণাৎ 'নাউজুবিল্লাহ' বলে আলেম সমাজের মিলিত রবে যেন ফেটে পড়ে মিলনায়তনটি। ড. আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, গণতন্ত্রকে কোন অবস্থাতেই নস্যাৎ হতে দেয়া যাবেনা। গণতন্ত্র টিকে থাকলেই ইসলাম যেমন টিকে থাকবে, তেমনি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাদের ধর্মকর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারবে। জোর করে ইসলাম চাপিয়ে দেয়া বা ধর্মের দোহাই দিয়ে তথাকথিত জিহাদের নামে মানুষ হত্যা_ যার কোনটাই আল্লাহপাক পছন্দ করেন না । যার প্রমাণ তিনি কোরানে উল্লেখ করেছেন। দেশে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত চক্রই নিজস্ব স্বার্থ হাসিলে মানুষকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করে জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ করায় তিনি এই চক্রকে সরাসরি ইসলাম, দেশ ও জাতির দুশমন বলে আখ্যায়িত করেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পরই জামায়াত চক্র বিভিন্ন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে ইসলামের লেবাসধারী অপশক্তি এবং স্বৈরাচারী অপশক্তি উভয়ের বিরুদ্ধেই দেশের আলেম সমাজকে সব সময় সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নূর ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, আপনি সুন্নী হলে আপনার সন্তানকেও সুন্নী বানাতে হবে। জামায়াতপন্থী বানালে হবে না। এই জামায়াত তথা মওদুদীপন্থীরাই ইসলামের ৭২ প্রশ্নের জন্য দায়ী অপশক্তি মন্তব্য করে তাদেরকে এজিদের বংশধর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অপর বিশেষ অতিথি এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন বলেন, জামায়াতের লোকজন সম্প্রতি একজন সুন্নী মাশায়েখের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এরাই মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে যুক্ত হতে পারে, এই ঘটনাটি তা আবারও প্রমাণ করল। আল্লামা সদরুল আমিন রিজভী বলেন, একদিন আল্লাহর রাসুলকে (সা) বেহেশতে আগে কে প্রবেশ করবে বলে জানতে চেয়ে জনৈক সাহাবা প্রশ্ন করার পর তিনি বলেন, একজন আলেম। দোযখে? তিনিও একজন আলেম। অর্থাৎ জেনেশুনে ধর্মকে অপব্যাখ্যা করলে আল্লাহ নিজেই কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছেন। তিনি মওদুদীবাদী জামায়াত চক্র থেকে সবসময় ধর্মভীরু সুন্নী মুসলমানদের গা বাঁচিয়ে চলারও পরামর্শ দেন। সংগঠনের সভাপতি এবং অনুষ্ঠানেরও সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, জাতির এখন একটাই দাবি, অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সাজার ব্যবস্থা করা। ইসলামের লেবাস ধরে থাকা কোন অপরাধীই যেন পার না পায়, আবার কোন নির্দোষ ব্যক্তিও যেন সাজার কবলে না পড়ে সেজন্য সঠিক তদন্তও নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল, সংগঠনের মহাসচিব মোবারক হোসেন ফরাজিসহ বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-04-18&ni=15214
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সরকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, যুদ্ধাপরাধ আইন ১৯৭৩ কে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য যথাযথ উলেস্নখ করে দেশের জনগণই এই বিচার সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন। হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনের শিকার এ দেশের ভুক্তভোগী জনগণই যেখানে সাক্ষী সেখানে অন্যদের দেখানোর জন্য কোন বিদেশী প্রতিনিধি আনার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জামায়াতের বুদ্ধিজীবী এবং আইনজীবীদের সাম্প্রতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩-কে ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করাকে মিথ্যার বেসাতি বলে তীব্র প্রতিবাদ জানান। জামায়াত যুদ্ধাপরাধী বলেই এই আইনকে ত্রুটিপূর্ণ দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলে দেশের মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে দেশের গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে তথাকথিত ইসলামের ধ্বজাধারী জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজকে রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান ডা মহীউদ্দীন।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় সুন্নী সম্মেলন। আলা হযরত এম এ জলিল (রা.) স্মরণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সুন্নী সম্মেলনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা প্রায় হাজার দেড়েক আলেম অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে ওলামাদের মধ্যে মওদুদীপন্থী এবং যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার বহির্প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর "পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় জামায়াত কাজ করেছিল" বলে মিডিয়ায় প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সকলেই ছিলেন প্রতিবাদে সোচ্চার। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, যুদ্ধাপরাধ বলতে যা বোঝায় সেই হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন জামায়াত স্বীকার করছে না কিন্তু শত্রুকে সরাসরি দেশের জনগণের ওপর চড়াও হতে সহায়তা করেছে বলে সদম্ভ স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। তৎৰণাৎ 'নাউজুবিল্লাহ' বলে আলেম সমাজের মিলিত রবে যেন ফেটে পড়ে মিলনায়তনটি। ড. আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, গণতন্ত্রকে কোন অবস্থাতেই নস্যাৎ হতে দেয়া যাবেনা। গণতন্ত্র টিকে থাকলেই ইসলাম যেমন টিকে থাকবে, তেমনি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাদের ধর্মকর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারবে। জোর করে ইসলাম চাপিয়ে দেয়া বা ধর্মের দোহাই দিয়ে তথাকথিত জিহাদের নামে মানুষ হত্যা_ যার কোনটাই আল্লাহপাক পছন্দ করেন না । যার প্রমাণ তিনি কোরানে উল্লেখ করেছেন। দেশে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত চক্রই নিজস্ব স্বার্থ হাসিলে মানুষকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করে জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ করায় তিনি এই চক্রকে সরাসরি ইসলাম, দেশ ও জাতির দুশমন বলে আখ্যায়িত করেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পরই জামায়াত চক্র বিভিন্ন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে ইসলামের লেবাসধারী অপশক্তি এবং স্বৈরাচারী অপশক্তি উভয়ের বিরুদ্ধেই দেশের আলেম সমাজকে সব সময় সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নূর ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, আপনি সুন্নী হলে আপনার সন্তানকেও সুন্নী বানাতে হবে। জামায়াতপন্থী বানালে হবে না। এই জামায়াত তথা মওদুদীপন্থীরাই ইসলামের ৭২ প্রশ্নের জন্য দায়ী অপশক্তি মন্তব্য করে তাদেরকে এজিদের বংশধর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অপর বিশেষ অতিথি এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন বলেন, জামায়াতের লোকজন সম্প্রতি একজন সুন্নী মাশায়েখের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এরাই মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে যুক্ত হতে পারে, এই ঘটনাটি তা আবারও প্রমাণ করল। আল্লামা সদরুল আমিন রিজভী বলেন, একদিন আল্লাহর রাসুলকে (সা) বেহেশতে আগে কে প্রবেশ করবে বলে জানতে চেয়ে জনৈক সাহাবা প্রশ্ন করার পর তিনি বলেন, একজন আলেম। দোযখে? তিনিও একজন আলেম। অর্থাৎ জেনেশুনে ধর্মকে অপব্যাখ্যা করলে আল্লাহ নিজেই কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছেন। তিনি মওদুদীবাদী জামায়াত চক্র থেকে সবসময় ধর্মভীরু সুন্নী মুসলমানদের গা বাঁচিয়ে চলারও পরামর্শ দেন। সংগঠনের সভাপতি এবং অনুষ্ঠানেরও সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, জাতির এখন একটাই দাবি, অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সাজার ব্যবস্থা করা। ইসলামের লেবাস ধরে থাকা কোন অপরাধীই যেন পার না পায়, আবার কোন নির্দোষ ব্যক্তিও যেন সাজার কবলে না পড়ে সেজন্য সঠিক তদন্তও নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল, সংগঠনের মহাসচিব মোবারক হোসেন ফরাজিসহ বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-04-18&ni=15214
No comments:
Post a Comment