যুদ্ধাপরাধীর বিচারে ট্রাইব্যুনাল ॥ প্রশ্নের সুযোগ নেই
০ যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা হয় অজ্ঞ না হয় জেনেশুনেই ভুল তথ্য দিচ্ছেন
০ আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনটি অসাধারণ
০ আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনটি অসাধারণ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ এ দেশের হোক আর অন্য দেশেরই হোক না কেন যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার হবে। কোন আইন ব্যক্তি বিশেষের জন্য হয় না। আইন হয় একটি বিশেষ অপরাধের জন্য। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সর্বত্র যত দ-বিধি আছে, সবই অপরাধের বিরুদ্ধে। বিশেষ অপরাধের বিরুদ্ধেই বিশেষ আদালত হয়। যারা আদালত সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে, তারা সম্পূর্ণ অজ্ঞ অথবা জেনেশুনে কথা বলছেন। ট্রাইব্যুনালে কোন বিচারকের প্রতি অনাস্থার সুযোগ নেই। এটা অসাধারণ আইন। দেশে যেমন পানি বিদ্যুত সমস্যা, সেটারও যেমন সমাধান চাই একই সাথে যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার চাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিদেশী আইনজীবীদের আসা নিয়ে বার কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে। ট্রাইব্যুনালে কতগুলো কেস হবে তা তদন্তের ওপরই নির্ভর করবে। তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট যখন আসবে তখন বোঝা যাবে তদন্তকারী সংস্থা বা প্রসিকিউটর লাগবে কিনা। আর আইনে আছে মামলা বেশি হলে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়বে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান, সদস্য, তদন্তকারী সংস্থার সদস্য ও প্রসিকিউটরদের নিরাপত্তা দেয়া হবে। আমাদের দেশে যথেষ্ট অভিজ্ঞ পর্যাপ্ত আইনজীবী আছে। সে কারণে বাইরে থেকে ধার করে আনার দরকার নেই। অনেকেই আতঙ্কে আছে। কারণ তারা বিদেশে যেতে পারছে না। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিচ্ছে। এলোমেলোভাবে কথা বলছে। দেশ ছেড়ে পালাতে চায়। পারছে না। কয়েকজনের গ্রেফতারের প্রস্তুতি সম্পন্ন। কাজেই আতঙ্ক থাকা স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে '৭১-এর গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধের বিচার, দেশে-বিদেশে প্রশ্ন শীর্ষক এই আলোচনা সভায় মন্ত্রী, বিচারপতি, আইনজীবিগণ প্রশ্নের উত্তর দেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ক নাগরিক কমিশন ও '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এই প্রশ্ন উত্তর পর্বের আয়োজন করেন। '৭১-এর ঘাতক দালার নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৪৮টি প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রধান বক্তা আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সূচনা বক্তব্য রাখেন '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির। প্রশ্নের উত্তর দেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ক নাগরিক কমিশনের সভাপতি বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, প্রাক্তন সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, আইন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এম শাহ আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পরিচালক ড. শাহদীন মালিক, সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব এ্যাডভান্সড লিগ্যাল এইড এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান, ল ডেভ বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার ড. তুরীন আফরোজ।
আইনমন্ত্রীর ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, তাঁরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেন না, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করবেন। বিচারের প্রশ্নে সরকারের এই ভিন্ন অবস্থান কেন? এর উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথমেই বলতে চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে সরকারের কোন ভিন্ন অবস্থান নেই। যাঁরা শুনছেন তাঁদের বোঝার কিছু ত্রুটি আছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করেছে। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ছিল। এ ব্যাপারে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই বিচারটি হবে ১৯৭৩ সালের আইনে। এর পরিধি ব্যাপক। যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে শুধু তাই নয়। যারা এ দেশ থেকে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছে। অন্য দেশের হোক না কেন যারা নাগরিকত্ব নিয়েছে তাদেরও বিচার হবে। যারা মানবতাবিরোধী করেছে বা এর সাথে সম্পৃক্ত। এর সাথে যারা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে, দখলদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেছে, এক কথায় বলা যায়, এই আইনের যে ব্যাপকতা তার মধ্যেই অপরাধীদের বিচার হবে। এটা ট্রাইব্যুনালের অধিক্ষেত্র। বিএনপি জামায়াতের আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ১৯৭৩-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবু্যনাল) আইন এ অভিযুক্তদের সংবিধান প্রদত্ত মানবাধিকারে লঙ্ঘিত হয়েছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, এই প্রশ্নটা একেবারেই ভিত্তিহীন। সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে। কোন ব্যক্তি খুন, ধর্ষণ মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী গণহত্যা বা আন্তর্জাতিক আইনে যে সমস্ত অপরাধ চিহ্নিত করে, সেগুলোর বিচার না করলে মানবতাবিরোধী লঙ্ঘন হবে। বাংলাদেশের জনগণও চায় অপরাধীর বিচার হোক। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ট্রাইবুনালটি যে আইনে স্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তদন্তকারী সংস্থা বাংলাদেশীদের অপরাধ তদন্ত করবে।
১৯৭৩-এ প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবীরা বলছেন, এটি একটি মৃত আইন, কালাকানুন, এই আইন কিসের ভিত্তিতে তেরি হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক সচিবও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, এক কথায় বলব যে, সম্পূর্ণ ভুল বলা হয়েছে। এটা মৃত আইন নয়। কালা আইনও নয়। বিএনপির উর্ধতন নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মেদ বলেছেন, ১৯৭৩-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন হয়েছিল ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে বিচার না করে ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে আইনটি অকেজো হয়ে গেছে। এই প্রশ্নের উত্তরে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, কোন আইন ব্যক্তিবিশেষের জন্য হয় না। আইন হয় একটি বিশেষ অপরাধের জন্য। তাহলে তো ১৯৫ জনই থাকত। এ সমস্ত আজগুবি কথা বলে মওদুদ সাহেব পার পেতে পারবে না। এটা টাকা পয়সার বিষয় না যে তামাদি হয়ে যাবে। মওদুদকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার চিন্তা নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। দেশে ও বিদেশে নবগঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ট্রাইব্যুনাল কি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচার করতে পারবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. শাহদীন মালিক বলেন, যাঁরা এ প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ। অথবা জেনেশুনে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এই আইনে অনেক কিছু নিশ্চিত আছে। তাঁরা বার বার জেনেশুনে মিথ্যা কথা বলছেন। অভিযোগ উঠছে, দলীয় বিবেচনায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক, আইনজীবী ও তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, প্রথমত এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দ্বিতীয়ত ভিত্তিহীন, তৃতীয়ত সত্যের সম্পূর্ণ অপলাপ। বিএনপি জামাতের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ভেতরও যুদ্ধাপরাধী আছে। নবগঠিত 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল' কি আওয়ামী লীগের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারবে? এ প্রশ্নের উত্তরে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ হোসেন বলেছেন, দলে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। এই প্রশ্নটি একটি স্ববিরোধী প্রশ্ন। এমন ৪৮টি প্রশ্নের উত্তরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
আইনমন্ত্রীর ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, তাঁরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেন না, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করবেন। বিচারের প্রশ্নে সরকারের এই ভিন্ন অবস্থান কেন? এর উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথমেই বলতে চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে সরকারের কোন ভিন্ন অবস্থান নেই। যাঁরা শুনছেন তাঁদের বোঝার কিছু ত্রুটি আছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করেছে। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি ছিল। এ ব্যাপারে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই বিচারটি হবে ১৯৭৩ সালের আইনে। এর পরিধি ব্যাপক। যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে শুধু তাই নয়। যারা এ দেশ থেকে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছে। অন্য দেশের হোক না কেন যারা নাগরিকত্ব নিয়েছে তাদেরও বিচার হবে। যারা মানবতাবিরোধী করেছে বা এর সাথে সম্পৃক্ত। এর সাথে যারা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে, দখলদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেছে, এক কথায় বলা যায়, এই আইনের যে ব্যাপকতা তার মধ্যেই অপরাধীদের বিচার হবে। এটা ট্রাইব্যুনালের অধিক্ষেত্র। বিএনপি জামায়াতের আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ১৯৭৩-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবু্যনাল) আইন এ অভিযুক্তদের সংবিধান প্রদত্ত মানবাধিকারে লঙ্ঘিত হয়েছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, এই প্রশ্নটা একেবারেই ভিত্তিহীন। সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে। কোন ব্যক্তি খুন, ধর্ষণ মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী গণহত্যা বা আন্তর্জাতিক আইনে যে সমস্ত অপরাধ চিহ্নিত করে, সেগুলোর বিচার না করলে মানবতাবিরোধী লঙ্ঘন হবে। বাংলাদেশের জনগণও চায় অপরাধীর বিচার হোক। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ট্রাইবুনালটি যে আইনে স্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তদন্তকারী সংস্থা বাংলাদেশীদের অপরাধ তদন্ত করবে।
১৯৭৩-এ প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবীরা বলছেন, এটি একটি মৃত আইন, কালাকানুন, এই আইন কিসের ভিত্তিতে তেরি হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক সচিবও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, এক কথায় বলব যে, সম্পূর্ণ ভুল বলা হয়েছে। এটা মৃত আইন নয়। কালা আইনও নয়। বিএনপির উর্ধতন নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মেদ বলেছেন, ১৯৭৩-এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন হয়েছিল ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে বিচার না করে ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে আইনটি অকেজো হয়ে গেছে। এই প্রশ্নের উত্তরে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, কোন আইন ব্যক্তিবিশেষের জন্য হয় না। আইন হয় একটি বিশেষ অপরাধের জন্য। তাহলে তো ১৯৫ জনই থাকত। এ সমস্ত আজগুবি কথা বলে মওদুদ সাহেব পার পেতে পারবে না। এটা টাকা পয়সার বিষয় না যে তামাদি হয়ে যাবে। মওদুদকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার চিন্তা নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। দেশে ও বিদেশে নবগঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ট্রাইব্যুনাল কি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচার করতে পারবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. শাহদীন মালিক বলেন, যাঁরা এ প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ। অথবা জেনেশুনে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এই আইনে অনেক কিছু নিশ্চিত আছে। তাঁরা বার বার জেনেশুনে মিথ্যা কথা বলছেন। অভিযোগ উঠছে, দলীয় বিবেচনায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক, আইনজীবী ও তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, প্রথমত এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দ্বিতীয়ত ভিত্তিহীন, তৃতীয়ত সত্যের সম্পূর্ণ অপলাপ। বিএনপি জামাতের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ভেতরও যুদ্ধাপরাধী আছে। নবগঠিত 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল' কি আওয়ামী লীগের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারবে? এ প্রশ্নের উত্তরে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ হোসেন বলেছেন, দলে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। এই প্রশ্নটি একটি স্ববিরোধী প্রশ্ন। এমন ৪৮টি প্রশ্নের উত্তরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
No comments:
Post a Comment