Sunday, April 18, 2010

বাংলাদেশ সংবিধান ও পটভূমি (শেষাংশ) ।। এম. আমীর-উল ইসলাম

বাংলাদেশ সংবিধান ও পটভূমি
এম. আমীর-উল ইসলাম
(শেষাংশ)
অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সামরিক ডিক্রির মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তনের যে অবৈধ রেওয়াজ সৃষ্টি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে বিচারপতি জনাব খায়রুল হকের রায়ের মাধ্যমে পঞ্চম সংশোধনী ইতিমধ্যেই অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে। আপীল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে এটা স্বীকৃত সাংবিধানিক মূলমন্ত্র হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করা। সপ্তম সংশোধনী ও অষ্টম সংশোধনী বিচারিক প্রক্রিয়ায় অথবা সংসদের মাধ্যমে বাতিল করে ১৯৭২ এর মৌলিক সংবিধানের আদল ফিরিয়ে আনা অতি আবশ্যকীয় একটি পদক্ষেপ। মুক্তি যুদ্ধের ঘোষনা পত্র বা মূল সংবিধান বা সংবিধানের প্রসত্দাবনা কখনই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পাকিসত্দানী সামরিক ধারার রাজনীতিতে আমাদের সামরিক শাসনের নাগপাশে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা কে বার বার বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। সংবিধান কোন শাসকের পোষাক বা ইউনিফরম না, যে ইচ্ছা করলে তার মাপে কেটে কুটে বানিয়ে দেওয়া যাবে। অবৈধ সামরিক শাসনের ছায়ায় যেসব পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে তা অসাংবিধানিক হিসাবে বাতিল ঘোষনার দাবী রাখে।
আমেরিকার প্রধান বিচারপতি মারবুরী বনাম মেডিসনের মামলায় রায়ে বলেছেনে যে, The people have an original right to establish, for their future government, such principles as, in their opinion, shall most conduce to their own happiness. The exercise of this original right is a very great exertion; nor can it nor ought it to be frequently repeated. The principles therefore, so established, are deemed fundamental. And as the authority from which they proceed is Supreme, and can seldom act, they are designed to be permanent.
রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারনামার ২৫ অনুচেছদে ভোটের অধিকার অর্থাৎ স্বাধীন, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসনে জনগণের অংশগ্রহণের অধিকার স্বীকৃতি পায়। এই অঙ্গীকার নামায় স্বাধীন ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার গঠনের অধিকার স্বীকৃতি লাভ করে। তেমনি একইভাবে বাংলাদেশ সংবিধানের ৭ ও ১১ অনুচেছদে সংবিধানের প্রাধান্য, মানবিক ও মানব সত্ত্বার মর্যাদা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিধানও প্রণীত হয়। জনগনের ক্ষমতা কার্যকর ও সচল রাখার প্রয়োজনে মত প্রকাশের ও তথ্য জানার এবং বৈধ উদ্দেশ্যে সংগঠিত হবার অধিকার; পাশাপাশি সংবিধানের সপ্তম ভাগে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকার গঠন করা যাবে। ৭ অনুচেছদ অনুযায়ী "প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে তার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে" বাসত্দবায়ন সম্ভব। তাই এটা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যবস্থা সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়। ১১ অনুচেছদ অনুযায়ী "প্রজাতন্ত্র হইবে গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।"
বাংলাদেশে বিগত ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে তৎপরবর্তী জোট সরকার নিয়ন্ত্রিত অবৈধ তত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ফলে যে সাংবিধানিক বিপর্যয় ঘটেছিল সেটা অতীতের সাংবিধানিক স্খলনের আরেকটি নতুন সংস্করন মাত্র। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা তথা সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যে কোন রাষ্ট্রের স্থিতিও স্থায়ীত্বের জন্য বিশেষ ভাবে আবশ্যকীয়। আমরা পর পর তিন বার এ ধারিবাহিকতা রক্ষা করতে ব্যার্থ হয়েছি। দুই বার সামরিক হসত্দক্ষেপের ফলে, তৃতীবার জোট সরকার নিয়ন্ত্রিত অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিনকে একই সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পদায়নের মাধ্যমে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনের ত্রুটিপূর্ন ও ভূয়া ভোটার লিষ্ট ও সুষ্ঠু ভোটার লিষ্ট বিহীন নির্বাচন এর বিরুদ্ধে সকল বিরোধী দল একত্রিত হয়। প্রতিকার চাইলে আদালতে তৎকালিন প্রধান বিচারপতি নজিরবিহীন এক অসাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে মামলাটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করে দিলেন। ফলশ্রুতিতে আমরা পেলাম সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার। ২০০৬ সালের তত্ত্ববধায়ক সরকারের যে অভিজ্ঞতা তার আলোকে অন্তর্বর্ত্তী সরকারের পুনঃমূল্যায়নের প্রয়োজন। একজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান করা যাবে কিনা। এর ফলে কি কি সাংবিধানিক কুফল জনগন লক্ষ্য করেছে তার মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়োগ করার ফলে দুইটি প্রতিষ্ঠানই বিতর্কিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির নিয়োগ, বয়স বৃদ্ধি, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুলো সরকারি দলের মাথায় থাকা যে অস্বাভাবিক নয়, জনগন তা লক্ষ্য করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যখন রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করেছিল তখন তাদের উদ্দেশ্যে ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে পনের বছরের জন্য অনুমোদন করা, যতদিন পর্যনত্দ না একটি যোগ্য নির্বাচন কমিশন গড়ে ওঠে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটার লিষ্ট প্রনয়ন এবং নির্বাচনে তাদের ভূমিকা স্বচ্ছ থাকায় নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার উপরে বিশ্বাস পুনঃস্থাপিত হচ্ছে একে কি ভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় এ নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। তাই বিষয়টি পুনঃবিবেচনার দাবি রাখে।
আর একটি বিষয়- সংবিধান এর ৭০ অনুচ্ছেদের কারনে সাংসদদের ভূমিকার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৭০ এ এরূপ লেখা আছে;
৭০ (১) কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে।
ব্যাখ্যা।- যদি কোন সংসদ সদস্য, যে দল তাঁহাকে নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত করিয়াছেন, সেই দলের নির্দেশ অমান্য করিয়া- (ক) সংসদে উপস্থিত থাকিয়া ভোটদানে বিরত থাকেন, অথবা (খ) সংসদের কোন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
৭০ (২) যদি কোন সময় কোন রাজনৈতিক দলের সংসদীয় দলের নেতৃত্ব সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উঠে তাহা হইলে সংসদে সেই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের নেতৃত্বের দাবীদার কোন সদস্য কর্তৃক লিখিতভাবে অবহিত হইবার সাত দিনের মধ্যে স্পীকার সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধি অনুযায়ী উক্ত দলের সকল সংসদ-সদস্যের সভা আহবান করিয়া বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের দ্বারা উক্ত দলের সংসদীয় নেতৃত্ব নির্ধারণ করিবেন এবং সংসদে ভোটদানের ব্যাপারে অনুরূপ নির্ধারিত নেতৃত্বের নির্দেশ যদি কোন সদস্য অমান্য করেন তাহা হইলে তিন (১) দফার অধীন উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে।
৭ (৩) যদি কোন ব্যক্তি নির্দলীয় প্রার্থীরূপে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার পর কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন, তাহা হইলে তিনি এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে উক্ত দলের মনোনীত প্রার্থীরূপে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
অনুচ্ছেদ ৭০(১) এর ব্যাখ্যায় একটি সংযোজন প্রয়োজন; "দলের নির্দেশ অমান্য" করিয়া বিষয়টির ব্যাখ্যা প্রয়োজন। প্রচলিত ব্যাখ্যা হলো এরকম নির্দেশের জন্য সংসদীয় দলের বৈঠকে সাংসদগণ তাদের মতামত এবং পক্ষ-বিপক্ষের যুক্তিতর্ক তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। এমন সুযোগের পর যদি সংসদীয় দল নির্দেশ জারী করে তবেই এ নির্দেশ কে দলের নির্দেশ বলে মেনে নিতে হবে। অতএব এই পন্থায় বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব। হুইপ কর্তৃক নির্দেশ দানের পূর্বে সংসদীয় দলের মুক্ত আলোচনার ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত হতে হবে। সেটা অমান্য করলে সাংসদ পদ চলে যাবে। অতএব এমন অধিকার থাকতে হবে যাতে একজন সাংসদ তার নিজের দলের অন্যান্য সাংসদদের যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাকে পক্ষে আনতে পারেন। এরপরও সিদ্ধান্ত তার বিপক্ষে গেলে তা মেনে নিতে হবে। ইংল্যান্ডে যেমন Conscience ভোট এর প্রথা প্রচলিত। সে গুলো সাংসদিয় দলের সভায় কোন সদস্যকে তার বিবেকের কারনে ভোট দানে বিরত থাকার অধিকার দিতে পারেন।
মানবাধিকার মানবসত্ত্বার মর্যাদা রক্ষিত হয় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে। সেই কাঠামো যখন ভেঙ্গে ফেলা হয় সংবিধানীক ধারাবাহিকতা পথ হারায়। সেই সাথে মানবাধিকার হয় বিপন্ন। জনগণকে আবার আন্দোলন সংগ্রাম করে সেই মানবাধিকার গনতন্ত্র, সংবিধানিক ও আত্ননিয়ন্ত্রণের অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। বাংলাদেশের জনগণ বার বার এমনি করে রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে, ত্যাগ তিতিক্ষা ও সংগ্রাম করে তার অধিকার অর্জন করেছে। সেই অধিকার জনগণ তুলে দেয় নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে, তা যখন জনগণ গছিছত রাখে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী পরিষদ ও নির্বাচিত সংসদে বা বিশ্বাস স্থাপন করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যেমন বিচারালয়ে, নির্বাচন কমিশনে, জাতীয় কর্ম কমিশনে, মহা হিসাব নিরীক্ষকের নিয়ন্ত্রণে, অথবা রাজনৈতিকভাবে নির্ভর করে নেতা-নেত্রী ও তাদের দলীয় প্রতিশ্রুতিতে। তখন জনগণের ন্যূনতম প্রত্যাশা যে, জনগণের এই আমানত যারা গ্রহণ করেন তারা সেই ক্ষমতার প্রয়োগ শুধুমাত্র জনগণের পক্ষে এবং তা কেবলমাত্র জনগণের স্বার্থে এবং সংবিধানের কর্তৃত্বে কার্যকর করবেন। জনগণকে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমপৃক্ত ও ওয়াকেবহাল রাখবেন। স্বচছ জবাবদিহিতার মাধ্যমে তারা এ গচ্ছিত আমানতের ব্যবহার করবেন। অথচ, যারা পবিত্র সংবিধানের নামে এই শপথ নেন তাদের স্খলন গণতন্ত্র ও মানবাধিকাররক্ষণের পরিবর্তে এক নিমর্ম হতাশায় যাতে পরিণত না হয় তার জন্য নীতি নির্ধারনে, কর্ম পরিচালনায় ও অভিযোগ শ্রবনে জনগনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশ গ্রহনণর পরিপূর্ণ সুযোগ দেবার কোনও বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ তার সৃষ্টির উষালগ্নে আত্মনিয়ন্ত্রণ, মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাসত্দবায়নের সংগ্রামের মহান ব্রত, আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরূ করেছে। কারণ বাংলাদেশ মানবাধিকার সংগ্রামেরই ফসল। বাংলাদেশের আদর্শ, উদ্দেশ্য, স্থিতি, সমৃদ্ধি ও প্রগতি এদেশের জনগণের মানবাধিকার বাসত্দবায়নের মাধ্যমে কার্যকর করা সম্ভব। এদেশের গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল করার জন্য সংবিধানের আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে এক দিকে যেমন শক্তিশালী করা প্রয়োজন অপর দিকে জনগণের জাগ্রত ও সজাগ দৃষ্টি এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধন ও অধিকার বাস্তবায়ন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সঠিক তথ্য জানবার অধিকার এবং তথ্য ও যুক্তির ভিত্তিতে মতামত গঠনের পরিবেশ সৃষ্টি জনগণের এই অধিকার প্রতিষ্ঠার পূর্ব শর্ত। সন্ত্রাস, ভয়, মিথ্যা প্রচার ও ইতিহাস বিকৃতি মুক্ত একটি সত্যাশ্রয়ী সমাজ গঠনে সকলকে ব্রতি হতে হবে। দূর্নীতি এবং দলীয় বা ব্যক্তির প্রভাব মুক্ত আইনানুগ দক্ষ প্রশাসন, আইনের নিজস্ব গতি সৃষ্টি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শক্তি বৃদ্ধি এবং একটি স্বাধীন মেধা ও মেরূদণ্ড সমপন্ন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের মৌলিক মানবাধিকারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব। এই সকল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে সঠিক রূপায়ন করার জন্য সকল সত্দরের জনগণ-পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের সংঘবদ্ধ সামাজিত ঐকতান সৃষ্টিতে তাদের সক্রিয় ও সচেতন ভূমিকা অপরিহার্য্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সনদ স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ও বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি আন্তরিক ও অকৃত্রিম আনুগত্যই শুধু পারে এদশেবাসীকে দলমত নির্বিশেষে এক্যবদ্ধ করতে। এমন একটি এক্যই শুধু পারে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌছাতে।

লেখক : আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2010-04-16&ni=14890

No comments: