যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়ে মোশাররফের 'মরাকান্না' | ||||
|
ঢাকা, এপ্রিল ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ১৯৭১'র যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে শীর্ষ এক বিএনপি নেতা বলেছেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের নিষ্পত্তি না করে 'মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার' করলে জনগণ প্রতারিত হবে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন বেসামরিক ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে সরকার 'মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার' করবে বলে জানিয়েছে। দৃশ্যত বিরোধী দল বিএনপি শুরু থেকেই এই বিষয়ে অস্পষ্ট অবস্থান নেয়।
দলটির প্রধান রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশ্য বিরোধিতা করে এবং গণহত্যাসহ নারী নির্যাতনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার জন্য দলটিকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার 'যুদ্ধাপরাধীর বিচার' থেকে সরে গিয়ে এখন তারা মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচারের কথা বলছে। আসলে তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে না। নির্বাচনে জিততে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের এই আলোচনা সভায় তিনি বলেন, "তার দল প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পক্ষে।"
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, "নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা বলে ক্ষমতায় এসে তারা ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালও গঠন করে। কিন্তু এখন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচার করছে।"
তার মতে, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সাধারণ আদালতেই বিচার করার বিধান রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিচার করছে।
"বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস এর মতো সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রাখতে ওই বিচারের প্রহসন করছে।''
আগামীতে অনুষ্ঠেয় দলের বিভাগীয় সমাবেশগুলোকে আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির এই নেতা জানান, বিভাগীয় সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া 'দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দানে প্রথম বিভাগীয় সমাবেশটি হয়েছে। দ্বিতীয়টি হবে ১৮ এপ্রিল হবে খুলনায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/জিএনএ/১৬০০ঘ.
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=124203&cid=37
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন বেসামরিক ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে সরকার 'মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার' করবে বলে জানিয়েছে। দৃশ্যত বিরোধী দল বিএনপি শুরু থেকেই এই বিষয়ে অস্পষ্ট অবস্থান নেয়।
দলটির প্রধান রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশ্য বিরোধিতা করে এবং গণহত্যাসহ নারী নির্যাতনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার জন্য দলটিকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার 'যুদ্ধাপরাধীর বিচার' থেকে সরে গিয়ে এখন তারা মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচারের কথা বলছে। আসলে তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে না। নির্বাচনে জিততে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের এই আলোচনা সভায় তিনি বলেন, "তার দল প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পক্ষে।"
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, "নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা বলে ক্ষমতায় এসে তারা ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালও গঠন করে। কিন্তু এখন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচার করছে।"
তার মতে, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সাধারণ আদালতেই বিচার করার বিধান রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিচার করছে।
"বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস এর মতো সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রাখতে ওই বিচারের প্রহসন করছে।''
আগামীতে অনুষ্ঠেয় দলের বিভাগীয় সমাবেশগুলোকে আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির এই নেতা জানান, বিভাগীয় সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া 'দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দানে প্রথম বিভাগীয় সমাবেশটি হয়েছে। দ্বিতীয়টি হবে ১৮ এপ্রিল হবে খুলনায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/জিএনএ/১৬০০ঘ.
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=124203&cid=37
No comments:
Post a Comment