Friday, April 23, 2010

আরও ৫শ' অপরাধীর তালিকা জমা হয়েছে তদন্ত সংস্থায়

আরও ৫শ' অপরাধীর তালিকা জমা হয়েছে তদন্ত সংস্থায়
যুদ্ধাপরাধীর বিচার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি বৃহস্পতিবার আরও নতুন নতুন তথ্যউপাত্ত ও ৫ শতাধিক অপরাধীর তালিকা জমা দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের তদনত্মকারী সংস্থার নিকট। ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা. এমএ হাসান তদন্ত কমিটির কাছে তথ্যউপাত্ত দিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ওপর নজরদারি রাখতে হবে। তা না হলে তারা বিভিন্নভাবে পালানোর চেষ্টা করবে। অপরাধীদের গৃহবন্দী, পাশাপাশি কয়েক জনকে গ্রেফতার করতে হবে।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা. এমএ হাসান দ্বিতীয় দফায় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দালিলিক প্রমাণপত্র তুলে দেন। এর মধ্যে রয়েছে, একটি সংক্ষিপ্ত ৫০০ জনের তালিকা, অপরাধের বিবরণ, সাক্ষীর নাম; বইয়ের মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ, যুদ্ধ ও নারী, পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী ১৯১ জনের নাম, শীর্ষ ১৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গে। এ ছাড়া অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের উল্লেখসহ '৭১ সালের ঢাকা শহরের মধ্যভূমির ম্যাপ, '৭২ সালের পত্রপত্রিকা, যার মধ্যে আছে দৈনিক ইত্তেফাক, পূর্বদেশ ও দৈনিক বাংলা। সৌদি আরব ও জাতিসংঘকে বিচারের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সে বিষয়ে রাজকীয় সৌদি আরবের দূতাবাসে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট দেয়া হয়। এ ছাড়া ২টি ডকুমেন্ট দেয়া হয়। এগুলো ইংরেজী ভাষায়।
১৯৭২ সালের ৩ জুলাই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরকারপ্রধান পর্যায়ে সিমলা চুক্তি হওয়ার পরই বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন যে, যুদ্ধাপরাধীরা হয়ত আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। সে কারণেই এটি সংশোধন করা হয়। নুরেমবার্গ ট্রায়াল ও টোকিও ট্রায়ালের পর এটিই হবে সমমানের প্রথম ট্রাইব্যুনাল। তদন্তকারী সংস্থার প্রধান আবদুল মতিন তথ্যউপাত্ত গ্রহণ করে বলেন, এগুলো তদন্ত কাজে সহায়ক হবে।

No comments: