Sunday, April 18, 2010

নিজেদের করা আইনে ॥ ফেঁসেছে বিএনপি

নিজেদের করা আইনে ॥ ফেঁসেছে বিএনপি।।
০ সংসদের সংরক্ষিত নারী সদস্যদের জন্য গোটা দেশই এলাকা_ এ আইন বিএনপি করেছিল
০ ওই আইনেই এখন বিএনপির এলাকায় আওয়ামী লীগের নারী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন
০ বিএনপি মনে করছে এর ফলে এলাকায় তাদের জনপ্রিয়তা কমে যাবে
নাজনীন আখতার ॥ সংরৰিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের নিয়ে নিজেদের সময়ের সংবিধান সংশোধন এখন বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির জন্য। রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ এখন এর পূর্ণ সুবিধা নিলেও হিতে বিপরীত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের জন্য। বিএনপি অধ্যুষিত ২৭টি এবং জামায়াত অধ্যুষিত ২টি এলাকায় দলের সমর্থন বাড়াতে আওয়ামী লীগ অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের। তবে বিএনপি-জামায়াত এ উদ্যোগকে সংবিধান পরিপন্থী এবং দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের হেনস্থা করা হচ্ছে দাবি করে স্পীকারের হ্তিক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে জাতীয় পার্টির তিনটি এলাকাতে আওয়ামী লীগের নারী সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হলেও কোন ধরনের আপত্তি জানায়নি দলটি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকা না থাকায় তাদের নিজস্ব জেলা হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব দেয়া হতো। তবে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়। পুরো বাংলাদেশকে তারা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের কাজের এলাকা হিসেবে উল্লেখ করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০১ সালে জোট সরকার মতায় আসার পর পুরো তিন বছর সংসদের সংরক্ষিত আসন শূন্য রাখে। ২০০৪ সালের সংসদে চর্তুরদশ সংশোধনী এনে সংরতি আসনের নারীদের জন্য নির্ধারিত জেলাভিত্তিক এলাকা তুলে দেয়। বলা হয়, তারা বাংলাদেশের যেকোন স্থানেই কাজ করতে পারবেন। আর ক্ষমতায় এসে এটাকেই সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর নিয়ামক হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। যেসব জায়গায় দলের সমর্থন কম সেসব এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের। আওয়ামী লীগের ৩৩ নারী সংসদ সদস্যকে এলাকা হিসেবে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জনকে বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যের এলাকায়, ৩ জনকে জাতীয় পার্টির, ২ জনকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ১ জনকে চারদলীয় ঐক্যজোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নির্বাচিত সংসদ সদস্যের এলাকায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের এ পদক্ষেপকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে চতুর্থ সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক এ ব্যাপারে স্পীকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তবে বিষয়টি স্পীকার তাঁর এখতিয়ার বহির্ভূত মন্তব্য করে সমস্যা সমাধানে দুই হুইপকে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছেন। তবে সরকার ও বিরোধী দলের দুই হুইপই একে অপরকে সংবিধান পরিপন্থী আচরণ করার দোষারোপ করে দীর্ঘদিনেও বৈঠকে বসেননি। জনকণ্ঠের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা আলোচনায় বসার ব্যাপারটিও অনিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সংসদের চীফ হুইপ উপাধ্যৰ আব্দুস শহীদ জনকণ্ঠকে বলেন, বিরোধী দলের চীফ হুইপ এ ধরনের অভিযোগ করে তাঁর রাজনৈতিক দীনতার পরিচয় দিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে নারী সংসদ সদস্যদের উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করার জন্য এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলের চীফ হুইপ এমন প্রশ্ন করতে পারেন না যে, আমরা কাকে কোন্ এলাকায় দায়িত্ব দেব। তার কোন অধিকারও নেই আমাকে প্রশ্ন করার। তাঁর অভিযোগ সংবিধান পরিপন্থী। তিনি বোধহয় সংবিধান সম্পর্কে জানেন না। তা পড়েও দেখেননি।
এদিকে বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক জনকণ্ঠকে বলেন, ক্ষমতার জোরে, সন্ত্রাসের জোরে সরকারী দল যেভাবে চাইবে সেভাবেই দেশ পরিচালনা করতে পারে না। এ ঘটনা তারা ঘটিয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের হেনস্থা করার জন্য, উন্নয়ন কাজে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির জন্য। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও কার্যপ্রণালী বিধি পরিপন্থী হওয়ায় আমরা আপত্তি জানিয়েছি। সংসদ নেতা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দলের সংরৰিত আসনের সংসদ সদস্যদের সংবিধানের কোন্ ধারায় চিঠি দেয়া যায় তা আমরা খুঁজে পাইনি। সরকারদলীয় চীফ হুইপ সৎ মনে এ উদ্যোগ নিলে তিনি আমাদের ৫ নারী সদস্যের জন্যও এলাকা দিতেন।
সমস্যা সমাধানে তাঁরা কবে আলোচনায় বসছেন প্রশ্ন করা হলে দু্'জনই জানান, স্পীকার ডাকলে তারা বৈঠকে বসবেন। তা না হলে দু'জনের কেউই একে অপরের ডাকে সাড়া দেবেন না।
এদিকে স্পীকার এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে এটি হওয়ায় এখানে স্পীকার হিসেবে আমার করণীয় কিছু নেই। তাদেরকেই আলোচনায় বসতে হবে সমস্যা সমাধানে। তবে ব্যক্তিগত অভিমত হিসেবে তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচিত এলাকায় আওয়ামী লীগের নারী সংসদ সদস্য থাকলে ৰতি কি? দু’দল একসঙ্গে উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত হওয়ায় তো ভাল। এখন তো সংরক্ষিত আসনের জন্য উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর (কাবিখা) আওতায় এখন ৪২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন গমের থোক বরাদ্দ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দেড় শ' মেট্রিক টন করে এবং নারী সংসদ সদস্যরা এক শ' মেট্রিক টন করে বরাদ্দ পাবেন। দু'জনের মিলে তো এলাকায় আড়াই শ' টন বরাদ্দ হয়। তিনি বলেন, আমার এলাকায় সংরক্ষিত আসনের বিএনপির সংসদ সদস্যকে দিলে আমি কোন আপত্তি জানাতাম না।
স্পীকারের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, এতে আপত্তির কিছু দেখছি না। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই তা বিবেচনা করা উচিত। আওয়ামী লীগের নারী সদস্যের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচিত সদস্যরা একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে কোন সমস্যা হওয়ারই কথা নয়। অন্তত আমার দলের সংসদ সদস্যদের কোন সমস্যা হবে না। দলের আসনভিত্তিতে আনুপাতিক বণ্টন হিসেবে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির ৪ জন নারী সদস্য আছেন। তাঁদেরকেও দল অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এলাকা দেয়ার চিন্তা করছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা তা করছি না। নারী সদস্যরা নিজেদের এলাকাতেই কাজ করছেন।
এদিকে এ বির্তক নিয়ে দলের 'স্ট্যান্ড' অনুযায়ী চলছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নারী সংসদ সদস্যরা। জনকণ্ঠের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অপু উকিল (ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-৬ এ অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, সারাদেশে আমরা কাজ করতে পারব এ ব্যবস্থা তো জোট সরকারের আমলেই সংবিধান সংশোধন করে করা হয়েছে। এখন কেন তাদের এত আপত্তি? তিনি বলেন, আমি বগুড়ায় দায়িত্ব পেয়ে জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বগুড়ায় যত উন্নয়ন তা বিএনপির নেতাকর্মীদেরই হয়েছে। জোট সরকারের আমলে সেখানে রাস্তা করা হলেও বাদ দেয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়ির এলাকার রাস্তা। তাদের উন্নয়ন বৈষম্য রুখতেই আমরা দায়িত্ব পেয়েছি এবং এতে জনসমর্থনও পেয়েছি।
বিপরীত মতামত তুলে ধরে সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ হীন চিন্তাভাবনা থেকে এ ভণ্ডামি করেছে। সংবিধানকে ইচ্ছেমতো ব্যাখ্যা দিয়ে তারা যে অসাংবিধানিক কাজ করছে তার ফল জনগণই তাদের দেবে। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগের উচিত ভুল সংশোধন করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নির্বাচিত এলাকা থেকে নারী সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেয়া।
যাঁদেরকে যেসব এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ॥ বিএনপির ২৭টি আসনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে জাহানারা বেগমকে। বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির জেড আই এম মোস্তফা আলীর এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে মনোনীত করা হয়েছে অধ্যক্ষ খাদিজা খাতুন শেফালীকে। বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ এ বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া আসনে জয়ী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এলাকায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অপু উকিল ও এ্যাডভোকেট তারানা হালিমকে। বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোমিন তালুকদারের এলাকায় দেয়া হয়েছে আহমেদ নাজমীন সুলতানাকে। এ ছাড়া বিএনপির অন্য যেসব সংসদ সদস্যের আসনে সংরক্ষিত নারী আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- বগুড়া-২ আসনে এ কে এম হাফিজুর রহমানের এলাকায় শওকত আরা বেগম, লক্ষ্মীপুর-১ এ নাজিমউদ্দিন আহমেদের এলাকায় নাজমা আকতার, লক্ষ্মীপুর-২ এ আবুল খায়ের ভূঁইয়ার এলাকায় রওশন জাহান সাথী, লক্ষ্মীপুর-৩ এ শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নির্বাচনী এলাকায় আসমা জেরীন ঝুমু, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম আশরাফউদ্দিন নিজানের এলাকায় আরেক নাজমা আকতার, কুমিল্লা-২ আসনে এম কে আনোয়ারের এলাকায় আশরাফুন নেছা মোশাররফ, কুমিল্লা-৩ এ কাজী মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে রোমানা মাহমুদের এলাকায় জিনাতুন নেসা তালুকদার, খুলনা-২ আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর এলাকায় নূর আফরোজ আলী, ফেনী-৩ আসনে মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের এলাকায় তহুরা আলী, কক্সবাজার-১ আসনের হাসিনা আহমেদের এলাকায় সাফিয়া খাতুন, কক্সবাজার-৩ আসনে লুৎফর রহমানের এলাকায় এথিন রাখাইন, বরিশাল-৪ এ মেজবাহউদ্দীন ফরহাদের এলাকায় সাধনা হালদার, বরিশাল-৫ এ মুজিবুর রহমান সরওয়ারের এলাকায় পারভীন তালুকদার, নোয়াখালী-১-এ এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকনের এলাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, নোয়াখালী-২ আসনে বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারম্নকের এলাকায় সুলতানা বুলবুল, নোয়াখালী-৩ আসনে বরকত উল্লাহ বুলুর এলাকায় রম্নবী রহমান, চট্টগ্রাম-২ আসনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এলাকায় শাহিদা তারেখ দীপ্তি, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর এলাকায় ফরিদা রহমান, জয়পুরহাট-১ আসনে মোজাহার আলী প্রধানের এলাকায় মাহফুজা মণ্ডল, জয়পুরহাট-২ আসনে গোলাম মোস্তফার এলাকায় শাহিন মনোয়ারা হক, এবং মেহেরপুর-২ আসনের আমজাদ হোসেনের এলাকায় নূরজাহান বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির যে তিনজন সংসদ সদস্যের এলাকায় নারী সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-মৌলভীবাজার-২ আসনের নওয়াব আলী আব্বাছ খানের এলাকায় সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, রংপুর-২ আসনের আনিসুল ইসলাম মণ্ডলের এলাকায় মোছাম্মত ফরিদা আখতার এবং নাটোর-১ আসনের আবু তালহার এলাকায় শেফালী মমতাজকে। জামায়াতের দু'জন সংসদ সদস্যের মধ্যে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আ ন ম শামসুল ইসলামের এলাকায় চেমন আরা বেগম ও কক্সবাজার-২ আসনের হামিদুর রহমান আযাদের এলাকায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) একমাত্র সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থের নির্বাচনী এলাকা ভোলা-১ আসনে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে হামিদা বানু শোভাকে।

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-04-18&ni=15210

No comments: