Monday, April 19, 2010

ভোলা – ৩, হাফিজের থলের বিরাল বেরিয়ে পড়েছে। (১)

স্বাধীনতার পর থেকে এই যাবৎ যতো নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী বিরোধী অপশক্তি। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ভোলা তিন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে সেইরকমই কিছু ব্যপার উঠে এসেছে।



একটু পিছন ফিরে দেখাযাক।

ভোলা-৩(লালমোহন-তজুমুদ্দিন) এ ছাত্র-জনতা দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝে জনপ্রিয় অকালপ্রয়াত ছাত্রনেতা ‘এম.কামাল পারভেজ(ভিপি কামাল) গত জোট সরকারের সময় সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হলে তার সহোদর বড় বোনের স্বামী বি.এন.পি-এর (তৎ কালীন ও বর্তমান)সভাপতি মোঃআনিচল হক মেজর হাফিজকে ফোনে একাধিকবার অনুরোধ জানান একটি হেলিকোপ্টার পাঠিয়ে তাকে দ্রুত ঢাকা এনে উন্নত চিকিৎসা দেবার জন্য। হাফিজ এই ছাত্রনেতার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত হয়ে নিরব থাকেন। সেইসময় লালমোহন বি.এন.পি’র ভবিষ্যত কান্ডারী ও হাফিজের উত্তরসুরী কে হবে তা নিয়ে প্রকাশ্যে দন্দ্ব ও গ্রুপিং চলছিল কামাল ও হাফিজের চাচাত ভাই লালমোহন যুবদলের
আহ্বায়ক মার্শাল হিমু’র মাঝে। দূর্ঘটনায় প্রানহারান ছত্রদলের তৎকালীন সভাপতি ও শাহবাজপুর কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি এম. কামাল পারভেজ। কৃতকর্মের প্রতিদান পান হাফিজ কামাল পারভেজ এর জানাজা নামাজ এ উপস্থিত হতে যেয়ে। কামাল পারভেজ এর অনুজ যিনি থানা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি এবং কামালের অনুসারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন মন্ত্রী হাফিজ। জুতা ও ঝাড়ু মিছিলে মিছিলে হাফিজ এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হন জানাজায় অংশগ্রহন না করেই। শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত হন তিনি। কামাল পারভেজের জনপ্রিয়তার প্রতিদানে তার বিধবা স্ত্রী আজ লালমোহন উপজেলার সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত ভাইস-চেয়ারম্যান। হাফিজের নির্বাচনে এই বিশাল গোষ্টীটি আজ লোক দেখানো কর্মী। গত ২০০৮ এর নির্বাচনে এরা সবাই প্রত্যক্ষ বিরোধীতা করেছিলেন। মুলত এরাই ছিল হাফিজের ভোটব্যাংক। লালমোহন বি.এন.পি’র সভাপতি আনিচল হক মিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে মেজর হাফিজ ২৪’এ এপ্রিল নির্বাচনের পর আমাদের ভুলে যাবেন।
গত ২০০৮’এর নির্বাচনের মতই নিরবতা পালন করছেন লালমোহন উপজেলা বি.এন.পি. এর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ সকল প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ। একমাত্র প্রচারব্যস্ত যুবদল আহ্বায়ক মার্শাল হিমু’র গ্রহনযোগ্যতা শুন্যের কোঠায়

No comments: