জামায়াত শিবিরের ঘুপচি কৌশল
সেলিম জাহিদ
হঠাৎ ঘুপচি মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ, সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই কর্মসূচি শেষ। বলে-কয়ে মাঠে নামলে পুলিশ ধাওয়া দেয়, লাঠিপেটা করে; গ্রেপ্তারও হতে হয়। তাই রাজপথে সরকারবিরোধী মিছিল-সমাবেশের এই নতুন কৌশল নিয়েছে জামায়াত ও ছাত্রশিবির।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন হত্যার পর পুলিশ জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় ও সমাবেশে বাধা দিতে শুরু করলে তারা এ কৌশল নেয়। প্রায় এক মাস ধরে এই কৌশলে নানান দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত-শিবির। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে ছাত্রশিবির কখনো সকাল ৯টায়, আবার কখনো রাত ১০টায় মিছিল করছে। বিক্ষোভ-সমাবেশের খবর আগাম না জানিয়ে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী জানান, ঝটিকা মিছিল-সমাবেশ করতে দলের নেতা-কর্মীরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছু প্রাক প্রস্তুতি নেন ও সতর্কতা অবলম্বন করেন। কর্তব্যরত পুলিশের অবস্থান পর্যবেক্ষণে রেখে তাঁরা জড়ো হন। মিছিলের আগেই নেতা-কর্মীরা এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করেন। প্রথমে ৮-১০ জন মিছিল শুরু করেন, চারদিক থেকে লোক জড়ো হয়ে তা দীর্ঘ মিছিলে রূপ নেয়।
সূত্রের দাবি, নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ মিছিল ও সমাবেশের নিরাপত্তার জন্য ওই সময় আশপাশে পাহারায় থাকে। হাততালি দিয়ে তারা মিছিলকারীদের উৎসাহ জোগান। সর্বশেষ গত শনিবার 'ভাত চাই, কাজ চাই' দাবিতে রাজধানীর শান্তিনগর, মতিঝিল ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জামায়াত।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর জামায়াত বিষয়টির উল্লেখ করে বলেছে, '...বিক্ষোভ মিছিলটি কাকরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর চৌরাস্তায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় রাস্তার উভয় পাশ্র্বে ও ভবনের ছাদ থেকে হাজার হাজার জনতা করতালির মাধ্যমে মিছিলকে স্বাগত জানায়।'
বিষয়টির উল্লেখ করলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বলেন, 'এটা কি তোমার বক্তব্য, না আওয়ামী লীগের বক্তব্য?' পরে তিনি বলেন, 'জনগণ সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ, এই করতালি তারই স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ।'
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম শনিবার কাকরাইল থেকে বের হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেন। এই কৌশল সম্পর্কে এ টি এম আজহার বলেন, 'আমরা নিয়ম মেনে সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়েও প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের কেবল বাধাই দিচ্ছে না, লাঠিচার্জ, টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করছে। এ কারণেই হয়তো স্থানীয় সংগঠন এ কৌশল নিয়েছে।'
মিছিলকারীদের জনতার স্বাগত জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'হাততালি প্রমাণ করে, আসলে সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই।'
গতকাল মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ২৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে সাত দিনের গণসংযোগ অভিযান উদ্বোধনের কথা জানান তিনি। কর্মসূচির মধ্যে আছে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাবিতে আলোচনা, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, নারী নির্যাতন ও বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ দিবস, ওলামা সমাবেশ ইত্যাদি।
সেলিম জাহিদ
হঠাৎ ঘুপচি মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ, সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই কর্মসূচি শেষ। বলে-কয়ে মাঠে নামলে পুলিশ ধাওয়া দেয়, লাঠিপেটা করে; গ্রেপ্তারও হতে হয়। তাই রাজপথে সরকারবিরোধী মিছিল-সমাবেশের এই নতুন কৌশল নিয়েছে জামায়াত ও ছাত্রশিবির।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেন হত্যার পর পুলিশ জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় ও সমাবেশে বাধা দিতে শুরু করলে তারা এ কৌশল নেয়। প্রায় এক মাস ধরে এই কৌশলে নানান দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত-শিবির। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে ছাত্রশিবির কখনো সকাল ৯টায়, আবার কখনো রাত ১০টায় মিছিল করছে। বিক্ষোভ-সমাবেশের খবর আগাম না জানিয়ে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী জানান, ঝটিকা মিছিল-সমাবেশ করতে দলের নেতা-কর্মীরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছু প্রাক প্রস্তুতি নেন ও সতর্কতা অবলম্বন করেন। কর্তব্যরত পুলিশের অবস্থান পর্যবেক্ষণে রেখে তাঁরা জড়ো হন। মিছিলের আগেই নেতা-কর্মীরা এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করেন। প্রথমে ৮-১০ জন মিছিল শুরু করেন, চারদিক থেকে লোক জড়ো হয়ে তা দীর্ঘ মিছিলে রূপ নেয়।
সূত্রের দাবি, নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ মিছিল ও সমাবেশের নিরাপত্তার জন্য ওই সময় আশপাশে পাহারায় থাকে। হাততালি দিয়ে তারা মিছিলকারীদের উৎসাহ জোগান। সর্বশেষ গত শনিবার 'ভাত চাই, কাজ চাই' দাবিতে রাজধানীর শান্তিনগর, মতিঝিল ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জামায়াত।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর জামায়াত বিষয়টির উল্লেখ করে বলেছে, '...বিক্ষোভ মিছিলটি কাকরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর চৌরাস্তায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় রাস্তার উভয় পাশ্র্বে ও ভবনের ছাদ থেকে হাজার হাজার জনতা করতালির মাধ্যমে মিছিলকে স্বাগত জানায়।'
বিষয়টির উল্লেখ করলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বলেন, 'এটা কি তোমার বক্তব্য, না আওয়ামী লীগের বক্তব্য?' পরে তিনি বলেন, 'জনগণ সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ, এই করতালি তারই স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ।'
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম শনিবার কাকরাইল থেকে বের হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেন। এই কৌশল সম্পর্কে এ টি এম আজহার বলেন, 'আমরা নিয়ম মেনে সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়েও প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের কেবল বাধাই দিচ্ছে না, লাঠিচার্জ, টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করছে। এ কারণেই হয়তো স্থানীয় সংগঠন এ কৌশল নিয়েছে।'
মিছিলকারীদের জনতার স্বাগত জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'হাততালি প্রমাণ করে, আসলে সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই।'
গতকাল মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ২৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে সাত দিনের গণসংযোগ অভিযান উদ্বোধনের কথা জানান তিনি। কর্মসূচির মধ্যে আছে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাবিতে আলোচনা, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, নারী নির্যাতন ও বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ দিবস, ওলামা সমাবেশ ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment