Sunday, April 11, 2010

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা আইখম্যানের সমগোত্রীয়

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা আইখম্যানের সমগোত্রীয়
আবদুল মান্নান
এডলফ আইখম্যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানির চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের নাৎসি পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং খোদ হিটলারের একান্ত আস্থাভাজন। যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে তার ওপর দায়িত্ব পড়ল জার্মানিকে ইহুদীমুক্ত করার। শুরু হলো মানব সভ্যতার ইতিহাসের এক কৃষ্ণ অধ্যায়। রাতারাতি ইহুদীরা হয়ে গেল জার্মানির ঘোষিত শত্রু। সিদ্ধান্ত হলো জার্মানিকে ইহুদীমুক্ত করতে হবে। আইখম্যান অনেকটা আনন্দের সাথেই দায়িত্বটা নিজের হাতে তুলে নিলেন। জার্মানির সকল ইহুদীকে প্রথমে বন্দী করে পাঠানো হলো বন্দী শিবিরে। পরবর্তীকালে আইখম্যানের এই কর্মকা- জার্মানির সীমানা ছাড়িয়ে যে সকল দেশ হিটলারের সেনাবাহিনী দখল করে নেয় সে সকল দেশেও ছড়িয়ে পড়ল। নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রুমানিয়া, অষ্ট্রিয়া, ফ্রান্স, চেকোস্লোভাকিয়া প্রভৃতি দেশ হতেও ইহুদীদের আটক করে ভরে ফেলা হলো পূর্ব ইউরোপে স্থাপিত বিভিন্ন বন্দী শিবির। শুধু বন্দী করলেই জার্মানি বা ইউরোপ ইহুদীমুক্ত হবে না। সবাইকেই খতম করে ফেলতে হবে। আইখম্যান বলল কোন চিন্তা নেই। শুরু হলো অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় ইহুদী নিধনযজ্ঞ। কখনও ফায়ারিং স্কোয়াড তো কখনও গ্যাস চেম্বার। যুদ্ধ শেষ হতে হতে ষাট লাখ ইহুদী খতম। অবশ্য আইখম্যান মনে করেন সংখ্যাটা একটু কম হবে। ষাট নয় তিনি পঞ্চাশ লাখ ইহুদী হত্যার জন্য দায়ী। স্বাভাবিক নিয়মেই আইখম্যানকে ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল বিচার করার কথা ছিল। ধূর্ত আইখম্যান রেডক্রসের জাল দলিল নিয়ে ইতালি হয়ে একেবারে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় পালিয়ে যায়। নিজের পরিচয় গোপন করে জাল কাগজপত্র তৈরি করে বুয়েনস এয়ার্সে এক মোটরগাড়ি কারখানায় চাকরির সুবাদে তার দিনকাল বেশ ভালই কাটছিল। বাদ সাধল ইসরায়েলের গুপ্ত পুলিশ মোসাদ আর সিনবেথ। ১৯৬০ সালে এক অসাধারণ এবং চাঞ্চল্যকর অভিযান চালিয়ে আইখম্যানকে আর্জেন্টিনা হতে ধরে নিয়ে আসা হয় একেবারে ইসরায়েলের জেরুজালেম শহরে। সোপর্দ করা হলো তাকে আইনের মুখোমুখি। তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হলো বিশেষ ট্রাইবু্যনাল। শুরু হলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত আইখম্যানের বিচার। পনেরোটি অপরাধের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হলো। হত্যা, গুম, মানবতাবিরোধী সংগঠনের সদস্য পদ লাভ, একটি দেশের সুনির্দিষ্ট এক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ইত্যাদি। নিয়ম অনুযায়ী কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পর বিচারক আইখম্যানের কাছে জানতে চাইলেন আপনি দোষী না নির্দোষ? উত্তরে আইখম্যান বললেন আইনের দৃষ্টিতে আমি নির্দোষ। কিন্তু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হ্যাঁ, অপরাধী। আমি সেই মানুষগুলোকে মৃত্যুর জন্য গ্যাস চেম্বারে পাঠিয়ে ছিলাম। প্রায় সোয়া বছর ইসরাইলের আদালতে আইখম্যানের বিচার চলেছিল। আইখম্যান তার আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য বার বার বলেছিলেন তিনি শুধু তার উপরের কর্মকর্তাদের হুকুম পালন করেছিলেন। নিজ থেকে কিছু করেন নি। বিচারিক আদালত আইখম্যানকে মানবতাবিরোধী আপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যসত করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। আইখম্যানের পক্ষে ইসরায়েলের শীর্ষ আদালতে আপীল করা হয়। শীর্ষ আদালত নিচের আদালতের রায় বহাল রাখে। ১৯৬২ সালের ৩১ মে ইসরায়েলের রামালা কারাগারে আইখম্যানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। হিমলার, গোয়েরিং, মেংগলে, গোয়েবলস, হেস প্রমুখও আইখম্যানের মতো ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধী অথবা মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধী ছিল। এদের কারও কারও ন্যুরেমবার্গ ট্রাইবুন্যাল বিচার হয়েছিল, কেউ যুদ্ধ মৃত্যুবরণ করেছিল। কয়েকজন আত্নহত্যা করেছিল আর বেশ কিছু গোপনে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গিয়েছিল। যারা পালিয়ে গিয়েছিল তাদের অধিকাংশরেই আইখম্যানের মতো শেষ রক্ষা হয়নি। এখনও যখনই যাকে যেখানেই পাওয়া যাচ্ছে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। বয়স বা সময়ের ব্যবধান এখানে কোন বিবেচ্য বিষয় নয়।
একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও আইখম্যান, হিমলার, গোয়েরিং বা মেংগলের এ দেশীয় সংস্করণ ছিলেন গোলাম আযম, নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, ফকাচৌ। সাকাচৌরা। আইখম্যানদের শত্রু ছিল ইহুদীরা। আর গোলাম আযম গংয়ের শত্রু ছিল, আওয়ামী লীগ সমর্থক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, ছাত্র, যুবক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবী, বাংলা এবং বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকলে। আইখম্যানরা গেস্টাপো আরএসএস পয়দা করেছিল মানবতা আর সভ্যতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। একই আদলে গোলাম আযম, নিজামী, ফকা চৌধুরী আর তাদের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ আর সমমনরা তৈরি করেছিল আলবদর, আলশামস, রাজাকার, মুজাহিদ বাহিনী। যেমন সুপারিকল্পিত ভাবে আইখম্যান এবং তার দোসররা ইউরোপে ইহুদী নিধন কার্য পরিচালিত করেছিল ঠিক একই কায়দায় গোলাম আযম গংরাও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাঙালী নিধনের মহোৎসব শুরু করেছিল। আইখম্যানদের শিকার ষাট লাখ। সময় প্রায় সাত বছর। গোলাম আযম গংয়ের সারা বাংলাদেশের কয়েক হাজার এবং এ সাথে তাদের দোসর পাকিস্তানী বাহিনীর শিকার যোগ করলে সর্বমোট ত্রিশ লাখ। শিকারের সময় নয় মাস।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পরেই মানবতাবিরোধী অপরাধ আর যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য বসেছিল নু্যরেমবার্গ ট্রাইবু্যনাল। বিচার চলেছিল তিন বছর। বিচারে পঁচিশজনকে মৃতু্যদ-, পঁচিশজনকে যাবত জীবন কারাদ-, বিরানব্বই জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। পঁয়ত্রিশজন ছাড়া পেয়েছিল। পালিয়ে যাওয়ার কারণে যাদেরকে আইনের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি তাদের খোঁজ এখানও চলছে। ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের সামনে গোয়েরিং বা হেসের মতো চিহ্নিত অপরাধীরা কেউ নিজেদের নিদের্াষ দাবি করেনি। কারণ তথ্য-উপাত্ত, প্রমাণ আর ইতিহাস তাদের বিপক্ষে ছিল।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার ৭৩টি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। এর মধ্যে ঢাকায় ছিল ১১টি ট্রাইবু্যনাল। ক্ষতিগ্রস্তরা এই সব ট্রাইব্যুনালে তাদের আর্জি পেশ করেন। ১৯৭৩ সালের নবেম্বর মাস নাগাদ এই ট্রাইব্যুনালের কাছে কয়েক হাজার মামলা দায়ের করা হয়। এই সময় সারা দেশে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ আর যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৩৭ হাজার ৪৭৭ জন গ্রেফতার ছিল। এর মধ্যে ২৬ হাজার ব্যক্তিকে বঙ্গবন্ধু সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে মুক্ত করে দেয়। এরা মূলত ছিল ছিঁচকে অপরাধী । বাকি ১১ হাজার ৪৭৭ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তারা কারা অন্তরালেই ছিল। এদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, গুম, অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ছিল । এদের অনেকেরই সাজা হয়ে গিয়েছিল। কারও কারও বিচার শেষ পর্যায়ে ছিল। গোলাম আযম আর তার দোসরদের বেশির ভাগই মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে দেশ থেকে পলিয়ে গিয়েছিল । গোলাম আযম বিদেশে একাত্তরের ঘাতকদের 'পূর্ব পকিস্তান পুনরুদ্ধারে' নামে সংগঠিত কারার চেষ্টা করেছিলেন । মুজাহিদ ছাতা মেরামতের মিস্ত্রির ছদ্মবেশে দেশেই আত্মগোপন করেছিলেন । নিচের সারির কেউ কেউ অতি বামপন্থীদের দলে ভিড়ে বঙ্গবন্ধু সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল ।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইতিহাসের চাকা আবার পিছনে ঘোরা শুরু হলো। পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর ৰমতা দখল করে জেনারেল জিয়া প্রথম যে অপকর্মটি করলেন তা হচ্ছে যে আইনে (১৯৭২ সালের বাংলাদেশ দালাল আইন) এই মামলাগুলো চলছিল তা বাতিল করে দিলেন এবং একই সঙ্গে ওই ১১ হাজার ৪৭৭ জন অপরাধীকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। আজকাল প্রায়শ কিছু বিএনপি জামায়াতের নেতা আর তাদের ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্ন সভা সেমিনার টক শোতে বলে বেড়ান বঙ্গবন্ধুই তো সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এগুলো তো মীমাংসিত বিষয় । এতদিন পর কেন এই সব বিষয় আবার তোলা হচ্ছে? তারা হয় পাঁড়মূর্খ অথবা নিম্ন শ্রেণীর জ্ঞান পাপি। জেনারেল জিয়া শুধু যে এই আইন বাতিল করে সকলকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন তাই নয়, তিনি তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ওপর থেকে ১৯৭২ এর সংবিধানে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে সকল যুদ্ধাপরাধীদের লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। অনেককে নিজ দল বিএনপিতেও তিনি জায়গা করে দেন। শাহ আজিজ, আব্দুল আলীমদের মতো চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেন। গোলাম আযম দেশে ফিরে সরাসরি জামায়েতের রাজনীতিতে যুক্ত হন। নিজামী, কামরম্নজ্জামান, সাঈদী, কাদের মোল্লা, মুজাহিদ সকলে রাতারাতি বনে যান জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা। এটি ছিল আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও চেতনার ওপর চরম চপেটাঘাত।
বিগত সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি তাদের মেনিফেস্টোতে অন্তর্ভুক্ত করে। তার পরও জনগণের মনে সন্দেহ থেকে যায় শেষ পর্যন্ত এই বিচার হবে কি না তা নিয়ে। সত্যি সত্যি যখন সরকার বিচার শুরু করার সকল প্রস্তুতি এখন সম্পন্ন করে এনেছে তখন জামায়াত বিএনপি নড়েচড়ে বসেছে। জামায়াত তো সরাসরি তাদের সকল কৃত কর্ম অস্বীকারই করছে। নিজামী বলেন জামায়াতে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। মুজাহিদের মন্তব্য একাত্তরে কী করেছেন তা তার মনে নেই। তাদের স্মৃতিভ্রম হলেও মানুষের তো আর স্মৃতিভ্রম হয়নি। আর যে সকল দালিলিক প্রমাণ দেশে এবং দেশের বাইরে সংরক্ষিত আছে তা তারা অস্বীকার করেন কী ভাবে? সাকাচৌ এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন তিনি যদি যুদ্ধাপরাধ করেই থাকেন তা তিনি করেছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম কী বাংলাদেশের বাইরে? তিনি তার চিরাচরিত অশ্লীল ভঙ্গি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চট্টগ্রামে তার সঙ্গে নির্বাচন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বালখিল্যতা আর কাকে বলে? বিগত নির্বাচনে নিজ নির্বাচনী এলাকায় পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদের কাছে। ফটিকছড়ি আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। এটি তার নির্বাচনী এলাকা নয়। আইখম্যানের বিচারের সময় তিনি সাহস করে নিজের মানবতাবিরোধী অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। অপরাধী হিসাবে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীরা আইখম্যানের সমগোত্রীয়, কিন্তু মানুষ হিসাবে মনে হয় তার চাইতেও অধম।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলে জামায়াত বিএনপি এবং তাদের অন্যান্য মিত্ররা এই বিচারকে বানচাল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার আপ্রাণ চেষ্টাও করবে। শেখ হাসিনার জীবনের ওপরও আঘাত আসতে পারে । এই যৌথ অপশক্তি মোকাবেলা করা আওয়ামী লীগের একার পক্ষে সহজ নয়। তা করতে হলে মহাজোটের অন্যান্য দলসমূহ, সিভিল সমাজ, সাধারণ জনগণ, সকলকে সাথে নিতে হবে। পুরো বিষয়টা নিয়ে প্রয়োজন ব্যাপক প্রচার এবং জনসংযোগ। এই যুদ্ধ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাধারণ মানুষ একাত্তরে বিজয়ে পুনরাবৃত্তি দেখতে চায়। রচিত করতে চায় আর একটি গৌরবগাথা। তার জন্য সারা জাতি অপেক্ষায়।

ঢাকা, এপ্রিল ৮, ২০১০
লেখক : শিক্ষাবিদ

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2010-04-11&ni=14458

No comments: