মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যান্টনমেন্টে থাকায় খালেদার বিচার হবে না কেন? প্রশ্ন সাজেদার
মুজিবনগর দিবস পালিত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে বাংলার মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বাঁচাতে না পেরে বিএনপি-জামায়াত জোট এখন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মরিয়া। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের সমস্ত দরজা বন্ধ, বাঁচার কোন সুযোগ নেই, যতই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করা হোক; সব কিছু প্রতিরোধ করেই বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে। আইনের রশিতে তাদের ঝুলতেই হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী হিসেবে খালেদা জিয়ারও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ এক ও অভিন্ন। বিষয়টি একইভাবে আইনে সংজ্ঞায়িত করা রয়েছে। নব্য মুজিবকোটধারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, কিছু আমলা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা চায় না যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, বিদ্যুত-পানি-গ্যাস সঙ্কটের সমাধান হোক। এদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করতে হবে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় নেতারা এ কথা বলেন। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বনানী কবরস্থানে জাতীয় নেতাদের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেলে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি কোন কর্মসূচীতেই অংশ নিতে পারেননি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন সাজেদা চৌধুরী।
সকালে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, দলের সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সমমনা সংগঠন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। মুজিবনগর দিবসের প্রতিটি কর্মসূচীতে সবার মুখে মুখে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা।
বিকেলে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এমএ আজিজ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নূহ-উল-আলম লেনিন।
সভাপতির বক্তব্যে সাজেদা চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে পুরো দেশের মানুষ আজ একাট্টা। বেকায়দায় পড়ে বিএনপি-জামায়াত জোট এখন আবোল-তাবোল বকছে। জিয়াকে পাকিস্তানের চর হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যান্টনমেন্টে থেকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিতা করায় খালেদা জিয়ার বিচার হবে না কেন? তাঁরও বিচার হওয়া উচিত।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক ট্রাইবু্যনাল (এ্যাক্ট) গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত আইন উল্লেখ করে বলেন, এটি কালো আইন হলে দু'বার ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়ারা কেন তা বাতিল করলেন না? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় খালেদা জিয়া-নিজামীরা পেরেশানিতে আছেন। পাকিস্তানও তাঁদের পাশ থেকে সরে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেশকে অবশ্যই কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা যা বলে তা বাস্তবায়ন করে ছাড়ে। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই। আইনের রশি থেকে রেহাই হবে না, ঝুলতেই হবে একাত্তরের ঘাতকদের।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, প্রতিবিপ্লবী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নায়ক ও নেতা হচ্ছে জিয়াউর রহমান। দেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। আর এ বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচার সকল দরজা বন্ধ।
মোহাম্মদ নাসিম নব্য মুজিবকোটধারী সম্পর্কে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষমতার সময় অনেকের আওয়াজ উঁচু দেখা যায়, কিন্তু বিপদের সময় তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এসব নব্য আওয়ামী লীগারদের ঠেকাতে হবে। কিছু আমলা আছে তারা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে সরকারকে ব্যর্থ করতে চায়। এদের চিহ্নিত করতে হবে। বিদ্যুত-গ্যাস-পানি সঙ্কটের সমাধান করতে পারলে দেশের জনগণ আরও বেশি আসনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আবারও বসাবে ইনশাল্লাহ।
মুজিবনগর দিবস পালিত
ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশের সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচী শুরু হয়। এর পর সকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীদের মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিদেশ থেকে অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে। বিচারের হাত থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নানামুখী তদ্বির শুরু হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকরের মতোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও অবশ্যই সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার প্রয়োজন নেই। রাজাকারদের তালিকা তৈরি করেই তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের পর একে একে এম এ আজিজ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ওলামা লীগ, তাঁতী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, ধানমণ্ডি থানা আওয়ামী লীগ, হকার্স পুনর্বাসন কল্যাণ লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং বিশেষ মোনাজাত করেন। এই সময় বিভিন্ন দল ও সংগঠনও সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-04-18&ni=15218
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী হিসেবে খালেদা জিয়ারও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ এক ও অভিন্ন। বিষয়টি একইভাবে আইনে সংজ্ঞায়িত করা রয়েছে। নব্য মুজিবকোটধারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, কিছু আমলা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা চায় না যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, বিদ্যুত-পানি-গ্যাস সঙ্কটের সমাধান হোক। এদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করতে হবে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় নেতারা এ কথা বলেন। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বনানী কবরস্থানে জাতীয় নেতাদের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেলে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাখার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি কোন কর্মসূচীতেই অংশ নিতে পারেননি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন সাজেদা চৌধুরী।
সকালে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, দলের সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সমমনা সংগঠন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। মুজিবনগর দিবসের প্রতিটি কর্মসূচীতে সবার মুখে মুখে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা।
বিকেলে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এমএ আজিজ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নূহ-উল-আলম লেনিন।
সভাপতির বক্তব্যে সাজেদা চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে পুরো দেশের মানুষ আজ একাট্টা। বেকায়দায় পড়ে বিএনপি-জামায়াত জোট এখন আবোল-তাবোল বকছে। জিয়াকে পাকিস্তানের চর হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যান্টনমেন্টে থেকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিতা করায় খালেদা জিয়ার বিচার হবে না কেন? তাঁরও বিচার হওয়া উচিত।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক ট্রাইবু্যনাল (এ্যাক্ট) গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত আইন উল্লেখ করে বলেন, এটি কালো আইন হলে দু'বার ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়ারা কেন তা বাতিল করলেন না? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় খালেদা জিয়া-নিজামীরা পেরেশানিতে আছেন। পাকিস্তানও তাঁদের পাশ থেকে সরে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেশকে অবশ্যই কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা যা বলে তা বাস্তবায়ন করে ছাড়ে। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই। আইনের রশি থেকে রেহাই হবে না, ঝুলতেই হবে একাত্তরের ঘাতকদের।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, প্রতিবিপ্লবী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নায়ক ও নেতা হচ্ছে জিয়াউর রহমান। দেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। আর এ বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচার সকল দরজা বন্ধ।
মোহাম্মদ নাসিম নব্য মুজিবকোটধারী সম্পর্কে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষমতার সময় অনেকের আওয়াজ উঁচু দেখা যায়, কিন্তু বিপদের সময় তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এসব নব্য আওয়ামী লীগারদের ঠেকাতে হবে। কিছু আমলা আছে তারা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে সরকারকে ব্যর্থ করতে চায়। এদের চিহ্নিত করতে হবে। বিদ্যুত-গ্যাস-পানি সঙ্কটের সমাধান করতে পারলে দেশের জনগণ আরও বেশি আসনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আবারও বসাবে ইনশাল্লাহ।
মুজিবনগর দিবস পালিত
ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশের সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচী শুরু হয়। এর পর সকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীদের মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিদেশ থেকে অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে। বিচারের হাত থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নানামুখী তদ্বির শুরু হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকরের মতোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও অবশ্যই সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার প্রয়োজন নেই। রাজাকারদের তালিকা তৈরি করেই তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের পর একে একে এম এ আজিজ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ওলামা লীগ, তাঁতী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, ধানমণ্ডি থানা আওয়ামী লীগ, হকার্স পুনর্বাসন কল্যাণ লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং বিশেষ মোনাজাত করেন। এই সময় বিভিন্ন দল ও সংগঠনও সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-04-18&ni=15218
No comments:
Post a Comment