বিগত ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাফিজের বিরোধীতায় শুধু লালমোহন থানা বি.এন.পি ও থানা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দই যে এবার সোচ্চার তাই নয়, বিরোধীতায় এবার মূখর তার দীর্ঘদিনের সহযাত্রী লালমোহন বি.এন.পি’র পৃষ্ঠপোষক পৌরমেয়র স্বয়ং। পৌরমেয়রের অনুজ লালমোহন পৌর-বি.এন.পি’র আহ্বায়ক এবং একিসাথে লালমোহন উপজেলার প্যানেল মেয়র মাসুদ পাটোয়ারীও তার অনুসারিদের নিয়ে প্রকাশ্যে শুধু হাফিজ বিরোধীতায়ই নামেননি, করেছেন দলত্যাগও। যোগ দিয়েছেন আওয়ামীলীগ’এ। হাফিজের শেষ আশ্রয়স্থলও হাফিজকে ত্যাগ করে। কারনটি হাফিজের স্বজনপ্রীতি ও স্বার্থান্বেষী মনোভাব। বিগত ২০০১’এর নির্বাচনপুর্ব কেয়ারটেকার সরকারের সময় তিনমাস দল পরিচালনায় মূলভূমিকা পালনকারী মাসুদ সেই সময় দলের কর্মী ও ক্যাডারদের পেছনে ব্যয় করেন প্রায় অর্ধকোটিটাকা। কিন্তু মন্ত্রী হয়ে হাফিজ মাসুদের প্রথম আড়াইকোটি টাকার ঠিকাদারী কাজটি বিনা টেন্ডারে পাইয়ে দেন তার চাচাতভাই মার্শাল হিমুকে। ক্ষমতার আমলে নিরব থাকলেও মেয়াদ শেষে বিরোধীতায় নেমে পরেন মাসুদ। সর্বশেষ বিগত ইয়াজ-মঈন-ফখুর সরকারের সময় হাফিজ তার কোনো কর্মীকেই সেনাবাহীনীর হাত থেকে রক্ষার কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। এটা সর্বজনবিদীত যে বি.এন.পি’তে হাফিজের সেনাবাহীনি কানেকশন বেশ মজবুত। সেনাসরকারের বিশ্বস্ত হাফিজই হয়েছিলেন সাইফুর-মান্নান ভূইয়া বি.এন.পি’র “ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব”। পৌরমেয়র কবির পাটোয়ারী ও তার অনুজ লালমোহন পৌর-বি.এন.পি’র আহ্বায়ক মাসুদ পাটোয়ারী ভুলতে পারেনি সেই সময়কার সেনানির্যাতন ও গ্রেফতার। অথচ লালমোহন যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজের চাচাতভাই মার্শাল হিমু ছিলেন ধরাছোয়ার বাইরে, যদিও তিনিই ছিলেন মূল সুবিধাভোগী।
অবশ্য দলবদলের এই সংস্কৃতি হাফিজের কাছে নতুন নয়। লালমোহন বি.এন.পি’এর মূল কোন্দল হল নতুন বিএনপি ও পুরাতন বিএনপি। এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হাফিজ নিজেই লালমোহনে নতুন বিএনপি বলে পরিচিত। লালমোহন বিএনপি’র সভাপতি আনিচল হক যখন রাজপথে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কারারুদ্ধ তখন হাফিজ এরশাদ সরকারের প্রভাবশালী সদস্য।
কেয়ারটেকার সরকারের সময় হাফিজের ভূমিকায় লালমোহন বিএনপি’র সভাপতি’র কথাই প্রতিফলিত হয়েছে “মেজর হাফিজ কখনোই বিএনপি’র ছিলোনা, তিনি সেনাবাহীনীর লোক।”
অবশ্য দলবদলের এই সংস্কৃতি হাফিজের কাছে নতুন নয়। লালমোহন বি.এন.পি’এর মূল কোন্দল হল নতুন বিএনপি ও পুরাতন বিএনপি। এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হাফিজ নিজেই লালমোহনে নতুন বিএনপি বলে পরিচিত। লালমোহন বিএনপি’র সভাপতি আনিচল হক যখন রাজপথে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কারারুদ্ধ তখন হাফিজ এরশাদ সরকারের প্রভাবশালী সদস্য।
কেয়ারটেকার সরকারের সময় হাফিজের ভূমিকায় লালমোহন বিএনপি’র সভাপতি’র কথাই প্রতিফলিত হয়েছে “মেজর হাফিজ কখনোই বিএনপি’র ছিলোনা, তিনি সেনাবাহীনীর লোক।”
2 comments:
100% truth, Thanks
We know the character of Major Hafiz.
Confirm he is going to out VOLA.
Post a Comment